বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমান অবস্থা একটু ভালো হলেও তাকে বিদেশে চিগিৎসার পরামর্শ দিয়েছে চিগিৎসকরা। তিনি দীর্ঘ ধরে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। বিশ্বব্যপি ছড়িয়ে পড়া রোগের আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তার শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়। পরে তিনি বেশ কিছু দিন হাসাপাতালে থেকে চিগিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যান। এবার তার বিদেশে চিগিৎসা নিয়ে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হার্টে রিং পরানোর পর সাময়িকভাবে তিনি হার্টের সমস্যা থেকে ‘রিলিভড’ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হৃদযন্ত্রে জটিলতায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে জরুরি ভিত্তিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকদের কাছ থেকে যতটুকু শুনেছি খালেদা জিয়ার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। হাসপাতালে থাকার সময় আরেকটি উপসর্গ দেখা দেয়। সেটা হচ্ছে তার সাফোকেশন শুরু হয়, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর দেরি না করে এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
তিনি বলেন, এনজিওগ্রামে দেখা গেছে তার মূল ধমনী ৯৯ শতাংশ ব্লক। সেখানে সফলভাবে স্টেন্ট করা হয়েছে। ডাক্তাররা আশাবাদী, এই ট্রিটমেন্টের ফলে তিনি আপাতত হার্টের যে সমস্যা, সেটা থেকে সাময়িকভাবে রিলিভড হয়েছেন।
দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ পর্যন্ত তার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসার জন্য, তাকে যে বিদেশে পাঠানো দরকার সেই বিষয়টাকে সম্পূর্ণ বাতিল করে দিয়ে যে ব্যবস্থাটা বলেন, সেটা সম্পূর্ণভাবে সঠিক নয়। আজকে আবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়াতে আরও প্রমাণিত হল, অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে না পারলে, তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি বলেন, ‘যদিও তারা অনির্বাচিত, তবুও আজকে আমি আবারও তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’ অন্যথায় আমরা আবারও বলছি, সব দায় দায়িত্ব কিন্তু এই সরকারকে বহন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা ভাল হলেও তাকে বিদেশে চিগিৎসার জন্য ব্যবস্থা করার আহ্বান জানায় প্রধানমন্ত্রী প্রতি বিএনপি মহাসচিব। তাকে বিদেশে চিগিৎসা করতে দেওয়া না্ হলে তার কিছু হলে এর দায়ভার সরকারের উপর বর্তাবে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।