মাঝে মাঝে এমন কিছু ঘটনা সামনে আসে যেগুলো মানুষের হৃদয় ছুয়ে যায়। না ফেরার দেশে চলে যাবেন, নিশ্চিত জেনেও বিয়ে করেছিলেন মাহমুদ হাসান নামের এক তরুণ ক্যা’/ন্সার আক্রা”ন্ত এক তরুণীকে। ভালোবাসা কখনো কোন দিন প্রণয়ের মাধ্যমে পরিণতিতে শেষ হবে এটা কখনও চিন্তা করেনি এই দম্পতি। এই নবদম্পতি সেটি আবারো প্রমান করে গেলেন ভালোবাসার কাছে পৃথিবীর সবকিছু হার মানে। জীবনে প্রয়োজন শুধু ভালোবাসার যে যাকে ভালবাসবে তার সবটুকু দিয়েই বাসবে। সেই নববধূ হারিয়ে গেলেন।
মাহমুদুল হাসান ( Mahmudul Hasan )কে বিয়ে করা ফাহমিদা কামাল (২৭) আর হাসপাতালের কেবিনে নেই। সোমবার ( Monday ) (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ( Chittagong Medical Center Hospital ) তার জীবনের পরিসমাপ্তি হয়। জানা গেছে, গত ( Past ) ৯ মার্চ ( March ) চট্টগ্রাম সিটি মেডিকেল ( Chittagong City Medical ) সেন্টারে সবাইকে ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে যাওয়া ফাহমিদাকে বেনারসি ( Fahmida Benaresi ) পরা কেবিনেও ( Even cabin ) স্ত্রীকে বিয়ে করেন মাহমুদুল হাসান ( Mahmudul Hasan )। চাকরিয়ার ছেলে মাহমুদুল হাসান ( Mahmudul Hasan ) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছেন। ফাহমিদা কামাল হলেন ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন ( Kamal Uddin ) ও শিউলি আক্তারের ( Shiuli Akhtar ) মেয়ে। ফাহমিদা কামাল আইইউবি ( IUB ) থেকে বিবিএ-এমবিএ ( BBA-MBA ) সম্পন্ন করেছেন।
ফাহমিদা কামালের চাচা ইউসুফ আলম ( Yusuf Alam ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত ( Past ), বিষয়টি অনেকে হয়তো মানবিক দিক দিয়ে বিচার করবে। কিন্তু এটা আসলেই কি মানবিক দিক। নাকি জীবনের অন্তিম পর্বে কাউকে খুশি রাখার চেষ্টা মাত্র। সর্বশেষ ইচ্ছা সম্পূর্ণ হলেও, অনেক কিছুই যেন রয়ে গেল বাকি। হাজারো হাজারো পাঠকের মনে বিষয়টি হয়তো সারা জীবনই গাঁথা রয়ে যাবে।