১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালিদের মহান বিজয় দিবস আর এই মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ অনেক হাসপাতাল ও আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়। বিজয় দিব উপলক্ষ্যে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালেও সাজানো হয়, কিন্তু ভবনটির বিভিন্ন স্থানে বেলুনের জায়গায় কন”ডম দিয়ে সজ্জা করা হয়েছে। বিষয়টি খুব দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরে এবং এক সময় তুমুল সমালোচনা শুরু হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই ধরনের কান্ড করার জন্য।
এ ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ রেজাউল করিমকে শনিবার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ কক্ষ, করিডোর, বারান্দার সৌন্দর্যবর্ধনের নির্দেশ দিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: আব্দুস সোবাহান। হাসপাতালের প্রধান ফটক ও জরুরি বিভাগের পুরো কক্ষ ফুল ও বেলুন দিয়ে সাজানো হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় রঙিন বেলুনের সঙ্গে সরকারি জন্মনিয়”ন্ত্রণ যন্ত্র (ক”নডম) ব্যবহার করা হয়।
সৌন্দর্য বর্ধনের নামে হাসপাতালে এমন ঘটনার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফে”সবুকে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সর্বোচ্চ সম্মান দিই। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন কাজ কোনোভাবেই কাম্য নয়। ‘
যু”দ্ধে আহ”ত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার বলেন, বিজয় দিবসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কর্মকাণ্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে।এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। ‘
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আব্দুস সোবাহান বলেন, ”এই ধরনের অবিবেচকের মতো কাজ করার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা ইতিমধ্যে দায়িত্বরত একজন ইনচার্জকে প্রদান করেছি। তাছাড়া খুব দ্রুত একটি কমিটি গঠন করার মাধ্যমে তিন দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। আমরা সেটা পাওয়ার পর আরো ব্যবস্থা গ্রহন করবো।”