বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাসে ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের চেষ্টাকারীদের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, যারা এই মিশনে যুক্ত, তারা যেন নিজেদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করেন।
জাহিদুল ইসলাম লিখেছেন, অর্থের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন করা হচ্ছে দাবি করে তিনি লিখেছেন, ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের জন্য ছাত্র-জনতা জীবন দেয়নি।
অর্থের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন করা হচ্ছে। এমনকি হত্যা মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এমন অসংখ্য তথ্য ও ডকুমেন্টস আমরা পেয়েছি। এমনটি হওয়ার কথা ছিল না।
যারা এই প্রজন্মের পালস বুঝতে পারছেন না, তারা বোকামি করছেন। যারা ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসন মিশনে নেমেছেন, সাবধান হয়ে যান। রিয়েলি সাবধান হয়ে যান। নতুবা পরিণতি সামাল দিতে পারবেন না।
তিনি আরো বলেন, ‘একাকী নীরবে আন্দোলনের দিনগুলো মনে হলে এখনো রক্তকণিকা হিম হয়ে আসে। স্তব্ধ হয়ে যাই। আমাদের ভাইদের রঞ্জিত ক্ষত-বিক্ষত চেহারা, একটু পর পরই সারা দেশ থেকে আহত কিংবা শাহাদাতের সংবাদ। কী এক বিভীষিকাময় ছিল সে দিনরাত্রির ক্ষণগুলো! কী করব আমরা, কী করা উচিত? সামনে অগ্রসর হবো, নাকি পিছিয়ে যাব? ময়দান আর ভাবনার লড়াইতে ক্লান্ত হয়ে যেতাম। কিন্তু শহীদের কথা মনে করে আবার সবাই উদ্যম ফিরে পেতাম।
শিবির সেক্রেটারি বলেন, ‘আমরা যারা সেদিন শহীদ হিসেবে কবুল হইনি। আমাদের শরীরে হাজারো শহীদের রক্ত লেগে আছে। আমরা সেই রক্তের ঘ্রাণ অনুভূব করি। নিজেদের আমরা আসলে শহীদই মনে করি। তাই আমাদের সামনে কোনো অন্যায় হলে আমরা শাহাদাতের লেবাসে সেখানে আঘাত হানব। যেখানেই ফ্যাসিবাদী চিন্তা ও কাজ হবে, সেখানেই আমরা প্রলয়ের মতো আঘাত হানব।’
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক পেজে ফ্যাসিবাদ ও ক্ষমতার দখলদারিত্ব নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “দিল্লিকে কিবলা বানিয়ে ক্ষমতার মসনদে যাওয়ার স্বপ্ন জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। যারা এই কাজ করবে, তারা গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমও আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন। প্রয়োজনে দ্বিতীয় অভ্যুত্থানের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।