শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজিত হওয়ার মাধ্যমে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ আরম্ভ করেছে বাংলাদেশের টাইগাররা। ম্যাচটিতে প্রথম থেকেই বাংলাদেশের অনুকূলে ছিল। লঙ্কানরা জয় পেয়ে যায় চারিথ আসালাঙ্কা ও ভানুকা রাজাপাকসেে অনবদ্য ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে, এই জুটি বিশাল রানের তালিকা তৈরী করে যেখানে ৫২ বলে ৮৬ রান নিয়ে নেয় এই জুটি। কিন্তু লিটন দাসের দুটি সহজ ক্যাচ যদি কোনোভাবে মিস না করতো তাহলে এই দুজনকে আগেই মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া যেত! এই দুটি ক্যাচকেই লঙ্কানদের বিপক্ষে হারের কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহিমকেও শুনতে হলো এই প্রশ্ন। জবাবে মুশি বলেন, ‘দা’য় চাপানোর কিছু নেই। আমরা যত বড় সংগ্রহই করি না কেন, ম্যাচে ছোটখাটো কিছু ভুল থাকেই, কিছু ইতিবাচক বিষয়ও থাকে। আমার মনে হয়, ক্যাচ দুটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। লিটন খুবই ভালো ফিল্ডার। আমার কাছ থেকে মিস হলে হয়তো ভিন্ন কিছু হতো। আমি ওরকম মানের ফিল্ডার না, সে আমাদের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। মুহূর্তটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, জুটি ভা’ঙা দরকার ছিল।’
দীর্ঘ ফর্মহীনতা কাটিয়ে গতকাল মুশফিক ৩৭ বলে ৫৭ রানের বি’ধ্বং/’সী ইনিংস খেলেন। যাতে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১৭১। উইকেটেরও প্রশংসা শোনা যায় মুশফিকের কণ্ঠে, ‘এই উইকেটে রান কম দেখেছি কিন্তু আজ খুব ভালো ছিল। আমরা জানতাম যে ১৭০ হয়ত জয়ের স্কোর না, কিন্তু আমরা যদি সুযোগ কাজে লাগাতে পারি তাহলে জয় সম্ভব। ওরা ৬ ওভার খুবই ভালো কাজে লাগিয়েছে। পরে সাকিব আমাদের মোমেন্টাম এনে দিয়েছে। কিন্তু ওদের দুই সেট ব্যাটসম্যান সব বদলে দেয়। সব মিলিয়ে বলব দায় দেয়ার কিছু নেই, কিছু ভুল হয়েছে সেজন্য ম্যাচটা জিততে পারিনি।’
গতকাল রবিবার আইসিসি টি -টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে। ব্যাটিংয়ের জন্য আমন্ত্রিত, বাংলাদেশ তাদের গ্রুপ ১ এর ম্যাচে লংকানদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ১৭১ রান করে। জবাবে, শ্রীলঙ্কা শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাত বল বাকি থাকতে ১৭২ রানের লক্ষ্য অর্জন করে। চারিথ আসালাঙ্কা ৪৯ বলে অপরাজিত ৮০ রান করে সর্বোচ্চ রান করেন, আর ভানুকা রাজাপাকসে মাত্র ৩১ বলে ৫৩ রান করেন। এর আগে, ওপেনার মোহাম্মদ নাইম তার ৬২ রানের ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন, অন্যদিকে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ৫৭ রানের অবদান রাখেন।