ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় বিএনপি নেতা হোমিও চিকিৎসক হারুন অর রশিদ হারুন (৫৫) হ’ত্যা’র ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে নিহতের ছেলে ফেরদৌস আহমেদ দীপ্ত বাদী হয়ে পাগলা থানায় মামলা করেন।
পাগলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, মামলার আসামি রুবেল মিয়া হ”ত্যা’কা”ণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হোমিও চিকিৎসক হারু’ন অর র’শিদ ও খু’নি’ রুবেল মিয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। পরবর্তীতে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সব ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে হারুনুর রশিদ হারুন গোয়েশপুর বাজারে ছাগলহাটায় বসে চা পান করছিলেন। এ সময় ডাঃ রুবেল হারুনের সাথে মারামারি ও ধাক্কাধাক্কি করে। কিছুক্ষণ পর রুবেল ডক্টর হারুনকে নিয়ে চায়ের দোকানে এসে ক্ষিপ্ত হয়। এ সময় হারুন দৌড়ে কাঁচা বাজারের গলিতে পড়ে যায়। সেখানে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে রুবেল।
পরে উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলের বাড়ি ঘেরাও করে আগুন ধরিয়ে দেয়। উত্তেজিত জনতা রুবেলকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। রুবেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে পুলিশি পাহারায় ঢাকার আগারগাঁও নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গোয়েশপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেলিম বলেন, ডাঃ হারুন অর রশিদ একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জেরে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মামলার বাদীর ছেলে ফেরদৌস আহমেদ দীপ্ত বলেন, সন্ত্রাসী রুবেল কেটে আমার বাবাকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং গোয়েশপুর বাজারে উল্লাস করেছে। খুনির ফাঁসি চাই। তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা তা দাবি করেন।
পিঠোল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জানান, নিহত হারুন অর রশিদ ওই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। সে গোয়ালবার গ্রামের মৃত খুরশেদ আলমের ছেলে। ঘাতক রুবেল মিয়া একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শাহাব উদ্দিনের ছেলে।