Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / হারানোর কিছু নেই, যে বয়স হয়ে গেছে তাতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ারও সম্ভাবনা নেই: সিইসি হাবিবুল

হারানোর কিছু নেই, যে বয়স হয়ে গেছে তাতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ারও সম্ভাবনা নেই: সিইসি হাবিবুল

নবগঠিত নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার ( Tuesday ) (২২ মার্চ) দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে সংলাপে বসে। সংলাপে দেশের ৩৯ জন বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হলে তাদের মধ্যে মাত্র ১৯ জন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশন ভবনের সভাকক্ষে তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সংলাপ চলাকালে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি নিয়ে বিশিষ্টজনেরা আপত্তি তোলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার,(সিইসি) কাজী হাবিবুল ( Kazi Habibul ) আউয়ালের সভাপতিত্বে সংলাপে তিন নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। আলোচনায় আমন্ত্রিত বিশিষ্টজনেরা বলেন, (ইভিএম) পদ্ধতি ভোট করা হবে না, এতে যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাধা আসে তাহলে প্রয়োজনে তারা পদত্যাগ করবেন।

ইভিএমে ‘না’: সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ( Center Policy Dialogue ) (সিডিপি ( CDP )) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘ইভিএম পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এটা থেকে দূরে থাকাই ভালো। ইভিএম ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে। ঝুঁকি নিয়ে ইভিএম ব্যবহার করা উচিত নয়। ‘
সিপিডির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান ( Mostafizur Rahman ) বলেন, ইভিএম ব্যবহার করলে বিতর্কিত হবেন। তাই এটি ব্যবহার না করে একটি ভাল এবং নিরেপক্ষ নির্বাচন করুন।

লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ ( Mohiuddin Ahmed ) বলেন, ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন আছে। এই ডিভাইসটি নিশ্চিত না করে ব্যবহার করা যাবে না যে এটি ম্যানিপুলেট করা যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন ( Faras Uddin ) বলেছেন, ইভিএম সবসময়ই বিতর্কিত। বিতর্কের সমাধান না করে এটি ব্যবহার করা ঠিক নয়। আমি জোর দিয়ে বলব- ইভিএম ব্যবহার না করা।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ( Jafrullah Chowdhury ) বলেন, টেন্ডার ছাড়া কীভাবে ইভিএম এল। কেউ কেন ইভিএম নিয়ে এত উৎসাহী তার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। ইভিএম কোনোভাবেই বড় পরিসরে ব্যবহার করা যাবে না। আপনি চাইলে ৫ থেকে ১০টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করতে পারবেন। তবে না করাই ভালো।

নিরপেক্ষ ভূমিকা নিতে হবে, বাধা দিলে পদত্যাগ করতে হবে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, নির্বাচন পরিচালনায় আস্থা ফিরিয়ে আনা একটি চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনী বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়। অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে সঠিক পছন্দ করুন। সাহসের সাথে কাজ করে একটি উদাহরণ স্থাপন করুন। আর কোনো বাধা থাকলে পদত্যাগ করার সাহস পাবেন।

লিডারশিপ স্টাডিজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. সিনহা এম এ সাঈদ বলেন, ইসির সঙ্গে এত সংলাপ মানেই এখানে সংকট। নিজের কাজ দিয়ে প্রমাণ করুন, সবার আস্থা অর্জন করুন। নির্বাচনের সময় কতটা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা যাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের ধরন, নির্বাচন কী ধরনের হবে- বিদ্যমান আইন ও বিধিমালায় কী ধরনের পরিবর্তন আনা যেতে পারে। একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আইনে কোন পরিবর্তন করা যেতে পারে কিনা তা আপনাকে চিহ্নিত করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের অনুগত না হয়ে রাষ্ট্রের জন্য কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে পদত্যাগ করবেন। সকল স্টেকহোল্ডার, ভোটার, আমরা আপনাদের পাশে আছি।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ভোটাররা নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ইসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। তাই অতীতের ভুল স্বীকার করেই কাজকে এগিয়ে নিতে হবে। তবে ক্ষমতায় থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। গত দুই নির্বাচনে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন বলেন, ভোটের আগে ও পরে কমিশনের ছয় মাস নির্বাচনী কর্তৃত্ব থাকা উচিত। এক্ষেত্রে ভোটের চার মাস আগে, ভোটের দুই মাস পর; এই ছয় মাসে ইসির ক্ষমতা থাকতে পারে।

ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সার্চ কমিটির কারণে বর্তমান কমিশন আস্থার সংকটে রয়েছে। তাদের সবার নাম প্রকাশ করেনি কমিটি। এছাড়া কমিশনের সাবেক সচিব নুরুল হুদা এবং আরেক সাবেক সচিবের শ্বশুর আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় নতুন ইসির দুই সদস্যকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সংলাপে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, রুবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), আবদুল লতিফ মন্ডল, সাবেক সচিব, বেগম শাহীন আনাম, নির্বাহী পরিচালক, ফাউন্ডেশন ফর দ্য পিপল, খুশী কবির, কারির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, আরবান স্টাডিজ (CUS), হাফিজুর রহমান কার্জন, অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাবি;

বক্তারা দলগুলোর আস্থা অর্জন, ঐতিহ্যবাহী প্রথা বৃদ্ধি, নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়েও তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

সবার মতামত নিয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের হারানোর কিছু নেই। ওই বয়সে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই আমাদের লাভ কিছুই নেই। আমরা যদি এখান থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক কিছু করতে পারি, আপনার দেওয়া পরামর্শ বিবেচনা করে যদি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা যায়, তাহলে আমাদের সকলের অংশগ্রহণে এটি সফল হতে পারে।

সিইসি বলেন, শতভাগ সফলতা হতে পারে, নাও হতে পারে। কিন্তু কেউ যদি বলে যে ৫০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশও গ্রহণযোগ্য, সেটাও বড় সাফল্য।

তিনি আরও বলেন, গত নির্বাচনে নানা কারণে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ভোট দিতে কেউ বলছে না। তবে নারায়ণগঞ্জে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। একই সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো বাধা থাকলে পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন আছে। এই ডিভাইসটি নিশ্চিত না করে ব্যবহার করা যাবে না যে এটি ম্যানিপুলেট করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন বলেছেন, ইভিএম সবসময়ই বিতর্কিত। বিতর্কের সমাধান না করে এটি ব্যবহার করা ঠিক নয়। আমি জোর দিয়ে বলব-ইভিএম ব্যবহার না করা।

লিডারশিপ স্টাডিজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. সিনহা এম এ সাঈদ বলেন, ইসির সঙ্গে এত সংলাপ মানেই এখানে সংকট। নিজের কাজ দিয়ে প্রমাণ করুন, সবার আস্থা অর্জন করুন। নির্বাচনের সময় কতটা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা যাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের ধরন, নির্বাচন কী ধরনের হবে- বিদ্যমান আইন ও বিধিমালায় কী ধরনের পরিবর্তন আনা যেতে পারে। একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আইনে কোন পরিবর্তন করা যেতে পারে কিনা তা আপনাকে চিহ্নিত করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের অনুগত না হয়ে রাষ্ট্রের জন্য কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে পদত্যাগ করবেন। সকল স্টেকহোল্ডার, ভোটার, আমরা আপনাদের পাশে আছি।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ভোটাররা নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ইসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। তাই অতীতের ভুল স্বীকার করেই কাজকে এগিয়ে নিতে হবে। তবে ক্ষমতায় থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। গত দুই নির্বাচনে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন বলেন, ভোটের আগে ও পরে কমিশনের ছয় মাস নির্বাচনী কর্তৃত্ব থাকা উচিত। এক্ষেত্রে ভোটের চার মাস আগে, ভোটের দুই মাস পর; এই ছয় মাসে ইসির ক্ষমতা থাকতে পারে।

ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সার্চ কমিটির কারণে বর্তমান কমিশন আস্থার সংকটে রয়েছে। তাদের সবার নাম প্রকাশ করেনি কমিটি। এছাড়া কমিশনের সাবেক সচিব নুরুল হুদা এবং আরেক সাবেক সচিবের শ্বশুর আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় নতুন ইসির দুই সদস্যকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সংলাপে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, রুবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), আবদুল লতিফ মন্ডল, সাবেক সচিব, বেগম শাহীন আনাম, নির্বাহী পরিচালক, ফাউন্ডেশন ফর দ্য পিপল, খুশী কবির, কারির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, আরবান স্টাডিজ (CUS), হাফিজুর রহমান কার্জন, অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাবি;

বক্তারা দলগুলোর আস্থা অর্জন, ঐতিহ্যবাহী প্রথা বৃদ্ধি, নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়েও তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

সবার মতামত নিয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের হারানোর কিছু নেই। ওই বয়সে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই আমাদের লাভ কিছুই নেই। এখান থেকে, জিনিসগুলি আরও জটিল হয়ে ওঠে এবং এখানেই খারাপ মানসিক ছাপ পোড়ানোর আসল অর্থ কার্যকর হয়।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে নবগঠিত নির্বচন কমিশন কাজ শুরু করেছেন। কিভাবে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা যায় সেজন্য তারা বিশিষ্টজনের সাথে আলোচনা করেছেন। সব জটিলতা কাটিয়ে সকল দলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবেন এটাই প্রত্যাশা জনগনের। আলোচনায় নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয় তবে ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে দ্বিমত পোষন করেন বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেছেন আগামী নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট সম্ভব নয়।

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *