Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / হামলায় আহত সন্তান, লাইভে এসে কাঁদলেন খোরশেদ আলম

হামলায় আহত সন্তান, লাইভে এসে কাঁদলেন খোরশেদ আলম

দীর্ঘদিন এমপির সঙ্গে আছি। নৌকার পক্ষে শপথ করিয়ে নেওয়ার পরেও কেন সে বিদ্রোহী ভোট করে আমার নিরীহ সাওয়ালকে (সন্তান) মেরেছে। নৌকায় ভোট করার কারণে আমার মেয়েকে মেরে অচেতন করা হয়েছে।।

সোমবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রকৌশলী এনামুল হকের সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত (অচেতন) ছাত্রীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় ফেসবুক লাইভে এসে বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের বোন বেবি আক্তার ও তার সহযোগী শাফিনুর নাহারসহ কয়েকজন আমার বাড়ির পাশে এসে শিশুটিকে মেরে শেষ করে ফেলেছে।

এমপি এনামুল ১৫ বছর ধরে রাজনীতি করছেন। তিনি শিখিয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বাইরে কেউ যাবেন না। নৌকার বিপক্ষে না যাওয়ার শপথও করিয়েছেন। সঙ্গত কারণে আমরা নৌকার বাইরে যেতে পারিনি। নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করেছেন তিনি। এই ক্ষোভে সে মহিলা সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার মেয়ের ওপর হামলা চালায়।

তিনি বলেন, মেয়েটি আক্রান্ত হওয়ার পর আমি মেয়েটিকে হারিমকুৎসা থেকে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। তবে সেখানে অক্সিজেন দেওয়ার পর মেয়েকে নিয়ে এখন রাজশাহী মেডিকেলে যাচ্ছি। আপনারা সবাই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।

লাইভে এসে তিনি আরও বলেন, হায়রে এমপি এনামুল। আপনার জন্য কী করিনি। আপনি হাত জাগিয়ে শপথ করিয়েছেন যে, দলের থেকে যে নির্দেশ আসবে সেই নির্দেশ অনুযায়ী আমাদেরকে কাজ করতে হবে। নৌকার বিজয় করে ঘরে ফিরতে হবে।

এই শপথ করিয়ে নিয়ে আপনি আজ কেন বিদ্রোহী? আজ কেনো আমরা মার খাচ্ছি? যেই শাফিনুর আপনার বিরুদ্ধে ঝাটা মিছিল করল, আপনি তাকে বুকে টেনে নিলেন। আর আপনার যারা পক্ষে ছিল তাদের ওপর এবং তার সন্তানদের ওপর হামলা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলবো আমরা বঙ্গবন্ধুর নৌকার বিজয়ের জন্য কাজ করছি, আর স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুলের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করছে।

জানতে চাইলে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের নৌকার প্রার্থী মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আগে এমপি এনামুল ভেবেছিলেন এবারও নৌকা প্রতীক পাবেন। এ কারণে তিনি এ সময় দলের নেতাদের কাছে শপথ নেন আপনারা কেউ নৌকার বাইরে যাবেন না। নেতাকর্মীরা হাত তুলে শপথ নেন। এখন এনামুল যখন নৌকা পাননি তখন নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে নৌকার পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালান। বাগমারাকে অস্থিতিশীল করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক জানান, আমার কর্মী-সমর্থকরা কারও ওপর হামলা করছে এটি সত্য না। বরং একের পর এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপরই কালামের সমর্থকরা হামলা চালাচ্ছে।

About Rasel Khalifa

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *