সম্প্রতি নানা বিতর্কিত ঘটনা ঘটিয়ে আলোচনায় আসছেন তারকারা। যদিও বিষয়গুলো নিয়ে তারা ভিন্ন তথ্য প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা করে থাকেন।কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসে।যে বিষয় গুলো নিয়ে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েন বিনোদন মাধ্যমের সঙ্গে জড়িতরা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখিকা মিলি সুলতানা হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
নিউজে দেখলাম টিভি অভিনেত্রী তানজিন তিশা সুইসাইডের চেষ্টা করেছেন। থ্যাংক গড কোনো বিপদ ঘটেনি। আল্লাহর দান করা শ্রেষ্ঠ জীবনটাকে শেষ করার চিন্তাভাবনা মাথায় আসা বোধহয় ঠিক না। আত্মহননের বিষয় খন্ডন করার জন্য তিশা ফেসবুক লাইভে এসে বক্তব্য দিয়েছেন। তার চোখের ভাষা ও মুখের ভাষার মধ্যে সামঞ্জস্য ছিলনা। মুখে যা বলেছেন চোখদুটো ঠিক তার বিপরীত বলেছে। অর্থ্যাৎ তিনি মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত। চোখের ভাষা লুকানো যায়না। বিষাদে ডুবে আছেন এই তরুণী অভিনেত্রী। তবে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন তিনি, ফুড পয়জনিং হলে স্লিপিং পিল খাওয়ার আবশ্যকতা মনে হবে কেন? গায়ক হাবিব ওয়াহিদের প্রাক্তন স্ত্রী রেহানা চৌধুরী বলেছিলেন, তিশা তার দাম্পত্য জীবন ছারখার করে দিয়েছেন। তিশার কারণে হাবিব ওয়াহিদের সাথে তার সংসারটা টিকলো না। তবে এখানে আমি এককভাবে তিশাকে দায়ী করবো না। এখানে হাবিবেরও দোষ ছিলো। হাবিব স্পেস না দিলে তিশা তার দিকে ঝুঁকতেন না। তিশা অভিনয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সম্ভাবনাময়ী। নিজের ক্যারিয়ার অ্যাস্টাবলিশ করতে পারতেন। তার ভক্তের সংখ্যাও কম নয়। একের পর এক ব্রোকেন রিলেশনশিপে জড়িয়ে নিজের কষ্ট বাড়িয়েছেন। মানুষের সমালোচনার খোরাক হয়েছেন। তিনি লেটেস্ট আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছেন অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সাথে জড়িয়ে। তবে কাহিনী যা-ই হোক আত্মহননের প্রচেষ্টা কোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারবেনা। তার কথায় বোঝা গেল বাবার মৃত্যুর পর থেকে তিনি মোটামুটি ডিপ্রেশনে আছেন। এমনটা হতে পারে। বাবা/মায়ের মৃত্যুর পর একজন সন্তানের কি রকম ফিলিং হয়, সেটা একজন মেয়ে হয়ে আমি বুঝতে পারি। তার বাবা বেঁচে নেই, কিন্তু মা তো বেঁচে আছেন। সন্তান হিসেবে মায়ের প্রতি তার কর্তব্য আছে। সত্যিই যদি তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকেন, মায়ের কথা ভাবা দরকার ছিল তার। আমি মনে করি তিশা সাহসী মেয়ে, বেশ পরিশ্রমীও। জীবনের প্রতিকূলতা পাড়ি দেবেন সাহস আর দৃঢ়তার সাথে। সবচেয়ে বড় কথা হলো ধৈর্য ধারণ করতে হবে। অভিনয়ের দিকে ফোকাস করুন। আউল ফাউল রিলেশনশিপে জড়িয়ে নিজেকে আত্মহত্যার মত জঘন্য পথে টানবেন না। প্রতিদিন একবার আয়নার সামনে দাঁড়াবেন। ঠিক এই ছবির মত করে নিজের সাফল্য আবিস্কার করার উপায় খুঁজুন।