আওয়ামী লীগ হলো বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল। তারা ভোটের মাধ্যমে বার বার নির্বাচিত হয়ে এসেছেন বাংলার ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা না থাকলে এমনটি কখনই হতো না। দলটির প্রধান নেতা হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনেনত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি জানা গেছে আওয়ামী লীগ ইভিএমের ব্যবহার বাড়াতে শক্তি দিয়েছে ইসিকে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পক্ষে কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন কমিশনকে বলেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি আয়োজিত সংলাপে অংশ নেয় ক্ষমতাসীন দলটি।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ধামাচাপা দেওয়ার কিছু নেই। এটা স্পষ্ট এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কারিগরি বিষয় নিয়ে ভোটের বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থা করেছে। আমাদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ। ‘
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য ইসির গ্রহণযোগ্যতা, নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া ইসিকে দায়িত্বশীল ও নিরপেক্ষ আচরণ নিশ্চিত করতে হবে, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং ইভিএম ভোটিং বাড়াতে হবে।
“আমাদের বার্তা জোরে এবং স্পষ্ট,” তিনি বলেছিলেন। আমরা ইসিকে আগেই বলেছি। এখানে কভার করার কিছু নেই। আগামী নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এ ছাড়া কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের রিটার্নিং অফিসার থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগসহ বেশ কিছু দাবি ছিল বলে জানান সেতুমন্ত্রী।
আজকের সংলাপে ১৩টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি। এগুলো হলো: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, সমাজতান্ত্রিক দল- বাংলাদেশের বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং বাংলাদেশ কালচারাল লিবারেশন অ্যালায়েন্স।
বিকাল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ১০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইভিএম নিয়ে সংলাপে বসে ইসি। সংলাপের শুরুতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরুদ্ধে অনেক কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেন, “আমাদের মধ্যে এর আগেও দুই দফা সংলাপ হয়েছে। অনেকেই ইভিএমের পক্ষে কথা বলেছেন। অনেকে সমাধানের কথা বলে এসেছেন, ইভিএম যত উন্নত হবে, তত ভালো। আবার অনেকে সরাসরি বলেছেন যে তারা। ইভিএমে ভোট দিলে নির্বাচনে যাবে না। আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। তবে কোন পথে যাব তা আমাদের (ইসি) সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হাবিবুল আউয়াল বলেন, “আমরা যখন দায়িত্ব নিই, তখন পত্রপত্রিকায় ইভিএম নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে অনেক কথা হয়েছে। শুরু থেকেই ইভিএম নিয়ে তেমন ধারণা ছিল না। ব্যক্তিগত ধারণাও ছিল না। আমি ইতিমধ্যে ইভিএম নিয়ে অনেক কাজ করেছি।এখন আমার মোটামুটি ধারণা আছে।
প্রসঙ্গত, ইভিএম নিয়ে অনেকেই বিরোধীতা পোষণ করছেন। নির্বাচনে যাতে ইভিএম ব্যবহার করা না হয় তার জন্য অনেকেই উঠে পড়ে লেগেছেন। তাদের অভিযোগ হলো ইভিএমে ভোট কারচুপি করা হয়। আর তাছাড়া অনেকেই ইভিএমে কিভাবে ভোট দিতে হবে সেইটা বুঝতে পারে না।