বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের প্রাদুর্ভাব এর সময় বাংলাদেশে রোগটির নমুনা শনাক্তের ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. সাহেদ। এই বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হন রিজেন্ট সাহেদ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এবার হাইকোর্ট থেকে পেলেন সুসংবাদ।
পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) পৌনে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. সাহেদকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সরওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই জামিন আদেশ দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন মো. মাসুদ উল হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।
২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিম, বাবুল চিশতীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন)। অপর দুই আসামি হলেন বাবুল চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী ও রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি মো. ইব্রাহিম খলিল।
উল্লেখ্য, শাহেদ শুধু রোগটির ভুয়া রিপোর্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেননি, তাছাড়াও তিনি নানা কৌশল অবলম্বন করে অনেক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি মন্ত্রী-সচিবদের সাথে ছবি তুলে নিজেকে একজন বড় মাপের ব্যক্তির পরিচয় দিয়ে তিনি ওই সকল ব্যক্তির কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ নিতেন, এরপর তা ফেরত দিতে না বলে ও অভিযোগ পাওয়া যায়।