অর্থ পাচারের অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ ৫ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ১ কোটি ১০ লাখ র্যান্ড টাকা যা প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
এদের মধ্যে তিনজন কারাগারে এবং বাকি দুইজনকে জরিমানা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। নর্দার্ন কেপ হকসের মুখপাত্র কর্নেল তেবোগো থিবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সানডে ওয়ার্ল্ডে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ কোটি র্যান্ড বা প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে দুই বাংলাদেশিকে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালতে হাজির করা হয়েছে। পরে আদালত দুই আসামিকে ২০ হাজার র্যান্ড বা ১ লাখ ১৮ হাজার টাকার বিনিময়ে জামিন দেন।
গত মার্চে একই ধরনের ঘটনায় তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ। যারা এখনও দক্ষিণ আফ্রিকার কারাগারে।
গত বৃহস্পতিবার, ৩৩ বছর বয়সী বাংলাদেশি রিপন ইউনুস এবং ৩৪ বছর বয়সী আশরাফ গুলামমাহাদ প্যাটেল কিম্বারলে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অপরাধ আদালতে হাজির হন। অর্থ পাচারের অভিযোগে গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকান পুলিশের বিশেষায়িত ‘হকস’ ইউনিটের সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে।
নর্দার্ন কেপ হকসের মুখপাত্র কর্নেল তেবোগো থিবে এই বছরের মার্চ মাসে বলেছিলেন যে অভিযুক্তরা তাদের দোকানে ব্যবহৃত একটি ব্যাংকিং প্রক্রিয়ায় কারচুপি করেছে। এ ঘটনায় সম্প্রতি ইউনুস ও প্যাটেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে একই অভিযোগে আমিনুল ইসলাম (৩৯), ফজি উল্লাহ (৩৬) এবং আতিকা আক্তারকে (২৩)ও মার্চে গ্রেফতার করা হয়। মার্চে গ্রেপ্তারকৃতদের জোহানেসবার্গ থেকে দুবাই যাওয়ার একটি ফ্লাইটে কিম্বারলি বিমানবন্দরে তুলে নেওয়া হয়েছিল। তারা এখনো কারাগারে। তারা দুবাই হয়ে ঢাকায় আসার চেষ্টা করছিলেন।
জালিয়াতির বিষয়ে থিবে জানান, নিজেদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত ব্যাংকিং প্রক্রিয়ার অভিযুক্তরা কয়েকবার ৫ লাখ ৬০ হাজার র্যান্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৩ লাখ টাকা) করে স্থানীয় এবং দেশের বাইরের একাধিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে থাকেন। এভাবে একে একে তারা ১ কোটি ১০ লাখ র্যান্ড পাচার করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা।
থিবে জানান, কিম্বারলির বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অপরাধ আদালত ইউনুস ও প্যাটেলকে জামিন দিয়েছেন এবং অভিযুক্ত পাঁচজনকেই একসঙ্গে হাজির করার জন্য ২০২৪ সালে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মামলাটি মুলতবি করেছেন।
তারা বৈধভাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।