সরকার বিভিন্ন বাহিনীর এবং দলের নেতা কর্মীদের দিয়ে হাম’/লা ও আক্র’/মনের ঠেকাতে বাম গণতান্ত্রিক জোট (এলডিএ ( LDA )) আগামী (২৮শে) মার্চ হরতালের ডাক দিয়েছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতি বলা হয়, যেভাবেই হোক হরতাল সফল করতে হবে। বর্তমান সরকার নানা ভাবে বিরোধী দলগুলোর উপর নিপী/ড়ন চালাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা কোন ধরনের মিছিল মিটিংসহ সকল প্রকার প্রচার প্রচারনায় বাঁধা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এসকল কর্মকান্ডের প্রতিবাদে হরতালের আহবান করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বাম জোটের কর্মসূচিতে হাম’/লা-মাম’লার ঘটনা ঘটছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা সরকারের ( government ) অস্থিতিশীলতার প্রমাণ দেয়। সরকার গণতন্ত্রের কথা বললেও বাস্তবে তারা বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ কর্মকাণ্ডে আতঙ্কিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সরকার জনগণের সুরক্ষা কর্মসূচিতে এমন স’ন্ত্রা’/সী হাম’/লা চালাতে পারবে না। এ ধরনের হামলা সরকারের ( government ) দম’নমূলক স্বৈ’রাচারী প্রকৃতির বহিঃপ্রকাশ। এটা মোকাবেলা করে ২৮শে মার্চের ( March ) অর্ধদিবস দেশব্যাপী হরতাল সফল করতে হবে।
বক্তারা হলেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ( Revolutionary Workers Party ) সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের ( Bangladesh ) কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ও বাংলাদেশের ( Bangladesh ) কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ( Ruhin Hossain Prince ), বাংলাদেশের ( Bangladesh ) সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ ( Bazlur Rashid Firoz ), গণফোরামের ( People' Forum ) সাধারণ সম্পাদক জোনায়েদ সাকি ( Jonaid Saki ) প্রমুখ। সংহতি আন্দোলন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের ( United Communist League ) সাধারণ সম্পাদক নান্নু, বিএসডি ( BSD ) (মার্কসবাদী ( Marxist )) এর সমন্বয়ক মাসুদ রানা ( Masood Rana ), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির ( Democratic Revolutionary Party ) সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ মিশু ( Musharraf Mishu ), ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী ( Marxist )) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ ( Iqbal Kabir Zahid ) ও হামিদুল হক ( Hamidul Haque ), সাধারণ সম্পাদক মো. ( Md. ) সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি।
প্রসঙ্গত, গনতান্ত্রিক দেশে মিটিং মিছিলে বাধা প্রদান করা সমচীন নয়। প্রত্যেক দলেকে তার মতামত প্রকাশে স্বাধীনতা দেওয়া উচিত বলে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মন্তব্য। দলের মত প্রকাশে স্বাধীনতা দেওয়া যেমন কর্তব্য তেমন হরতাল করে জনগনের জানমালের ক্ষতি করে দলের মত প্রকাশ দায়িত্বহীতার পরিচয়। যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন তার উচিত বিরোধীদল যারা আছে তাদের সব ধরনের মত প্রকাশে স্বাধীনতা দেওয়া ।