চিত্রনায়িকা শিমুর মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই চলছে আলড়ন। সম্প্রতি এই ঘটনার দায়ে গ্রেফতার করা হয় তার স্বামী এবং তার বন্ধুকে। স্বীকারক্তি নেওয়ার পর তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হল আদালাত থেকে। তিন দিনের রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড রাবেয়া বেগম।
অভিনেত্রী ও মডেল রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় নোবেলের স্বামী ও নোবেলের বন্ধু আবদুল্লাহ ফরহাদকে তিন দিনের নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবিয়া বেগম এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ওই দিনই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই চুন্নু মিয়া আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের প্রাক-বিচার হেফাজতের আবেদন করেন। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ছালাম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, শিমুর স্বামী নোবেল, তার বাল্যবন্ধু ফরহাদসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আদালত মামলার দুই আসামিকে ১০ দিনের জন্য রিমান্ডে রাখার অনুরোধ করার পরে তিন দিনের জন্য রিমান্ডে মঞ্জুর করে। তাদের রেফার করে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান ওসি।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিস্তারিত জিঞ্জাসাবাদ হয়ত খুব দ্রুতই শুরু হবে। নেপথ্যের কারণ কিছুটা জানা গেলেও রয়েছে এখন আরো অনেক ধোঁয়াসা। তবে বিস্তারিত জিঞ্জাসাবাদ শেষ হলে হয়ত জানা যাবে সব প্রশ্নের উত্তর। রিমান্ডের নির্দেশ দেওয়া হলেও কবে শুরু করা হবে সে ব্যাপারে এখনও কিছু স্পষ্ঠভাবে বলা হয়নি।