হেফাজতে ইসলাম পিছু হটেছে। দলটি ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিলেও হঠাৎ তা স্থগিত করে। এ নিয়ে দলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। হেফাজতের সরকার বিরোধী অংশ এই সিদ্ধান্তে তীব্র নাখোশ হয়েছেন। এতে হেফাজতের সাংগঠনিক শক্তি আরও দুর্বল হবে বলে মনে করেন তারা। সরকার হেফাজতে আরও চেপে বসবে।
এদিকে, কৌশলগত কারণে এই মুহূর্তে কর্মসূচি স্থগিত করায় ভবিষ্যতে এতে লাভবান হবেন বলে মনে করছেন হেফাজতের অন্য দুই অংশের নেতারা। নেতাকর্মীদের জামিন ও মামলা প্রত্যাহারের প্রধান দুটি দাবি নিয়ে তারা এখন সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানাতে পারবে। কর্মসূচি স্থগিত থাকায় নতুন করে সং/ঘর্ষে জড়ানোর প্রয়োজন হলো না। বিএনপি-জামায়াত তাদের ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে পারল না। এ বিষয়টি সামনে রেখে পাঠ্যপুস্তক সংশোধনসহ অন্যান্য দাবিতে সরকারের সঙ্গে জোরালো কথা যাবে।
নির্বাচনের আগে এ ধরনের কর্মসূচি না করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে হেফাজতকে অনুরোধ করা হয়। কারণ, একই সময়ে জামায়াত ও বিএনপিও নির্বাচন ঠেকাতে ঢাকায় একযোগে আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় কোনো দু/র্ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার বর্তাবে হেফাজতের ওপর- এমন বার্তাও দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। হেফাজতের সরকার-সংশ্লিষ্ট অংশের মাধ্যমে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে হেফাজতে তিনটি ধারা সক্রিয় ছিল।
যে কোনো মূল্যে ঢাকায় কর্মসূচি পালন করতে চায় হেফাজতের সরকারবিরোধী অংশ। তারা ভোটের মাঠে উত্তাপ বাড়াতে চায়। মামুনুল হকসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের এটাই সঠিক সময় বলে মনে করেন তারা। এই অংশটিও ভোটের আগে একটি টানা কর্মসূচির পক্ষে ছিল। তবে সরকারের ঘনিষ্ঠ নেতারা এই মুহূর্তে এমন কর্মসূচির বিপক্ষে ছিলেন। এই দুই দল ছাড়াও হেফাজতে রয়েছে আরও মধ্যপন্থি একটি ধারা।