গুরুতর আহত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ির উঠানে হাঁটতে গিয়ে আহত হন তিনি। আকস্মিক এই দু/র্ঘটনায় তার কপাল মাঝখানে ফেটে যায়। ক্ষত থেকে রক্ত ঝরছে। সেই রক্ত কপাল ভেদ করে ঘাড় পর্যন্ত পৌঁছেছে। এ ঘটনায় আহত মমতাকে দ্রুত কলকাতার এসএসকেএম হাম্পতালে ভর্তি করা হয়।
বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ভেরিফাইড এক্স অ্যাকাউন্টে তাঁর তিনটি রক্তমাখা ছবি প্রকাশিত হয়েছে। খবর পেয়ে স্বজনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করছেন। ইতিমধ্যে দশজনের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এনডিটিভি।
এক্স-এ প্রকাশিত ছবির ক্যাপশনে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে। তাতে লেখা ছিল, আমাদের চেয়ারম্যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুতর আহত হয়েছেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাসভবন প্রাঙ্গণে হাঁটছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এ সময় তিনি কোনোমতে পড়ে যান। সামনে পড়ে গিয়ে তার কপালের মাঝ বরাবর কাটা পড়ে। তবে পুরো ঘটনাটি এখনও পরিষ্কার নয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসকরা বলেছেন, কপালে সেলাই দিতে হবে। কারণ ক্ষতটি বেশ গভীর বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছান মমতার ভাগ্নে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। এ দিন দুপুরে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে সভা করেন অভিষেক। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে সোজা চলে যান এসএসকেএম হাসপাতালে
অভিষেক ঘনিষ্ঠ মহলকে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কপালে গভীর ক্ষত রয়েছে। কীভাবে এটি ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। তবে হাঁটতে হাঁটতে মমতা পড়ে যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে কেউ ধাক্কা দিলে সে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
অভিষেকের সঙ্গে তাঁর মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও হাসপাতালে যান। মমতার ছোট ভাই স্বপন ওরফে বেবুনও গিয়েছেন। গতকালই বেবুনের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন মমতা। আজ বেবুনও হাসপাতালে আহত বোনকে দেখতে যান। এদিকে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন মমতার সুস্থতা কামনা করে।