বর্তমান সময়ে এসে বাংলাদেশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশে আর কয়েক মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই মার্কিন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই ধরনের মাঝে মাঝে সফরের বিষয়টিকে অনেকে কূটনৈতিকভাবে দেখছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর চেস্টা করে চলেছে। এবার বাংলাদেশে আসার কথা ছিল দু’জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার।
তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারা ম্যাকডোনাল্ডের ঢাকা সফর স্থগিত করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাবলিক কূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক সেহেলি সাবরিন সাংবাদিকদের তার সফর স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসও জানিয়েছে, কারা ম্যাকডোনাল্ডের সফর আপাতত হচ্ছে না। তবে কোনো পক্ষই সফর স্থগিত করার কারণ জানায়নি।
বাংলাদেশে শ্রমের মান ও অধিকারের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার রাতে কারা ম্যাকডোনাল্ডের ঢাকা সফরের কথা ছিল।
দেশে শ্রমিকের জন্য একই আইন কার্যকরের ওপর জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া দেশের শ্রমের মান, সংগঠনের অধিকার, কাজের পরিবেশ আন্তর্জাতিক মান আনতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের ওপর বৈশ্বিক চাপ রয়েছে।
তিন দিনের সফরে ম্যাকডোনাল্ডের আগামি ৯ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করার কথা ছিল।
একই দিন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও তার সাক্ষাতের কথা ছিল। আর ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের শ্রম খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও অধিকারকর্মীদের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা ছিল।
বাংলাদেশের শ্রম খাতের স্বাধীনতা ও মান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে শ্রম আইন ব্যবহারের ওপর জোর দিয়ে আসছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যমান অনেক শ্রম আইন কার্যকর নয়। ওয়াশিংটন জোর দিয়ে আসছে যে সারা দেশে সকল শ্রমিকদের জন্য একই আইন প্রযোজ্য।
এছাড়া বাংলাদেশের শ্রমের মান, সংগঠনের অধিকার, কাজের পরিবেশ আন্তর্জাতিক মান আনতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের ওপর বৈশ্বিক চাপ রয়েছে।
প্রসংগত, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আগামিতে ইতিবাচক এবং সহযোগিতামূলক হবে বলে মনে করছে সরকার। দুই দেশ বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করবে বলে মনে করছে সরকার। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং উভয় দেশ গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।