এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৬৫ রান করেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব ৮০, তাওহিদ হৃদয় ৫৪, নাসুম আহমেদ ৪৪ ও শেখ মেহেদী হাসান ২৯ রান করেন।
জবাবে ওপেনার শুভমান গিল সেঞ্চুরি করে লক্ষ্য তাড়া করলেও বাংলাদেশের জ্বলন্ত বোলিংয়ে ভারত ৪৯.৫ ওভারে ২৫৯ রানে গুটিয়ে যায়। ৬ রানের জয়ে এশিয়া কাপের মিশন শেষ করল টাইগাররা।
লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আনন্দ প্রকাশ করেছেন সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির।
ফেসবুক বার্তায় শিশির লিখেছেন, ভালোবাসি সাকিব আল হাসান। দারুণ এক জয়, পুরো দলকেই অভিনন্দন।
এর আগে বাংলাদেশের দেওয়া ২৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ধাক্কা খায় ভারত। অভিষেক হওয়া পেসার তানজিম হাসান সাকিবের জড়া শিকারে প্যাভিলিয়নে ফিরেন রোহিত শর্মা ও তরুণ তিলক ভার্মা।শূন্য হাতেই ফেরেন ভারতীয় অধিনায়ক। আর তিলক করেন ৯ বলে ৫ রান।
এরপর শুভমান গিলকে নিয়ে দলকে টেনে নেন লোকেশ রাহুল। দুজনে মিলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে দ্রুত দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু হঠাৎ থেমে গেল রাহুল। দলীয় ৭৪ রানে শেখ মেহেদির বলে আউট হন তিনি। এরপরই ৫ রানে ইশান কিষাণকে ফেরান মেহেদি মিরাজ। ৯৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত।
একের পর এক ভারতীয় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ফিরলেও ওপেনার শুভমান গিল এগিয়ে থাকেন। সে স্ট্রোকের ফুলকে ছোট করতে থাকে। এরপর ধীরে ধীরে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন শেখ মেহেদী। ১৩৩ বলে ১২২ রান করে বাউন্ডারি লাইনে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গিল।
শেষ পর্যন্ত ১২ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৭ রান। তবে স্বল্প পুঁজির অভাব বাংলাদেশকে স্বস্তিতে থাকতে দিচ্ছিল না। ৪৯তম ওভারে শার্দুলকে ফিরিয়ে দেন ফিজ। এরপর শেষ ওভারে টাইগারদের দরকার ছিল এক উইকেট, আর ভারতের সামনে সমীকরণ ছিল ৬ বলে ১২ রান। এর আগে দুই উইকেট নিয়ে অভিষেক হওয়া তানজিম হাসান সাকিব প্রথম তিন বল ডট দেন। এরপর চতুর্থ বলে মহম্মদ শামি চার মেরে ম্যাচ প্রায় হারাতে বসেছিল। এরপর চাপের মুহূর্তে দুটি বিপজ্জনক রান নিতে গিয়ে রানআউট হন শামি। আর তাতেই শেষ হাসি এনে দেয় সাকিব আল হাসানের দলের।