সাধারনত সাংবাদিকদের কাজ অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। তবুও দেখা যায় নেতারা বিশেষ একটা সাংবাদিকদের প্রশংসা করেননা। কারন অনেক ক্ষেত্রেই গোপন তথ্যগুলো ধরলে ধরে সাংবাদিকরা। তবে সাংবাদিকদের এরকম জীবন ঝুকি নিয়ে কাজ করা এটা অপুর্ণতায় থেকে যায় শুধু একটু প্রশংসার অভাবে। অনেক প্রতিকূল পরিবেশে পৌছে যায় সাংবাদিকেরা ক্যামেরা নিয়ে, যাতে ধরা পড়ে অনেক সময় অনেক ধরনের ঘটনা। যেগুলো আইনি তদন্তের কাজকে এগিয়ে দেয় আরো এক ধাপ। এবার সেই সাংবাদিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি।
সাংবাদিকদের প্রশংসা করে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি বলেছেন, রাষ্ট্রের চারটি খুঁটির একটি হচ্ছে সাংবাদিক। সংবাদপত্র হচ্ছে একটি আয়না। সংবাদপত্র একটি মহৎ পেশা। এ পেশায় যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্বপালন করছেন তারাই সত্যিকার দেশপ্রেমিক সাংবাদিক। সাংবাদিকরা আমার প্রাণের সমতুল্য। তাদের ক্ষুরধার লেখনী সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ভূমিকা পালন করতে পারে।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় টেকনাফ পৌরসভা কার্যালয় সংলগ্ন প্রেস ক্লাব কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছৈয়দ হোসাইনের সভাপতিত্বে ক্লাবের সাবেক সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি বদি।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরফানুল হক চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল। উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান তাহেরা আকতার মিলি, ইউএনএইচসিআর লাইভলিহুড কর্মকর্তা সুব্রত কুমার চক্রবর্তী, এনজিও ফোরামের প্রকল্প সমন্বয়ক আতাউর রহমান, সাংবাদিক নূরুল করিম রাসেল ও কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ মনির।
ইউএনএইচসিআরের অর্থায়নে প্রেস ক্লাব কার্যালয়টির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে এনজিও ফোরাম।
হঠাৎ এমন প্রশংসা সাংবাদিকদের কাজের প্রতি আরো বেশি অনুপ্রেরোণা যোগাবে। তবে হঠাৎ করে এমন প্রশংসা মানুষের কাছে একটু রহস্যজনকও মনে হয়েছে। কেন সবকিছু রেখে সাংবাদিকদের প্রশংসায় সাবেক সংসদ সদস্য বদি, তবে কি এটা নতুন কোনো বুদ্ধি! তবে সাংবাদমাধ্যমগুলো এটাকে নেতিবাচকভাবে দেখছে। তারা মনে করছে এটা তাদের দুঃসাহসিক কাজের অনুপ্ররণা।