অষ্টম দফা অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালন করেন। শনিরখড়া, পান্থপথ, উত্তরা, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর, পল্লবীসহ বিভিন্ন এলাকায় মিছিল বের হয়।
খিলগাঁও জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কর্মপরিষদ সদস্য আবদুস সালাম বলেন, আওয়ামী সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বং/স করেছে। এই ফ্যাসিবাদী সরকার ২০১৪ সালে নাগরিকদের ভোট দিতে দেয়নি। ২০১৮ সালের প্রহসনের নির্বাচনে, ব্যালট বাক্সগুলি আগের রাতে ভর্তি করা হয়েছিল এবং তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও তারা নীল-নকশার তফসিল ঘোষণা করে মূলত বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ক্ষমতা দখলের ষ/ড়যন্ত্র করছে। তবে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীরা ভোট ছাড়া ক্ষমতা দখলের সরকারের দিবাস্বপ্ন পূরণ হতে দেবে না। স্বৈরাচারী সরকারের সকল ষ/ড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমেছে। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত গণআন্দোলন চলবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু ফাহিম, মহানগর মজলিশের শুরা সদস্য আবদুল্লাহ আল আমিন ও খিলগাঁও জোনের সহকারী পরিচালক আবদুর রহমান সাজু, মহানগর মজলিশের শুরা সদস্য আসিফ আদনান, মাওলানা মাহমুদুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, সাজিদুর রহমান শিবলী, আবু মুয়াজ, জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট এস এম খোকন, খোরশেদ আলম মজুমদার, ছাত্রনেতা তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
উত্তরায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচনের নামে সব দল ও রাজনৈতিক এতিমদের সঙ্গে পাই-বন্টনের আয়োজন করে সরকার রাষ্ট্রক্ষমতাকে নস্যাৎ করার নতুন ষ/ড়যন্ত্র শুরু করেছে। কিন্তু জনগণ কোনোভাবেই তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে দেবে না। তিনি নির্বাচন নিয়ে ইঁদুর-বিড়াল না খেলে অবিলম্বে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান। অন্যথায় আগামী দিনে মহাসড়ক আরো অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে।
এর আগে উত্তরা আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়। পথসভায় ঢাকা মহানগর উত্তরের শুরা সদস্য মাওলানা এম এ আলম, আবু মুসয়াব, আবু সাদিক, শ্রমিক নেতা আব্দুল হালিম, আবু বকর সিদ্দিক, ছাত্রনেতা জুলকারনাইন ও রকিবউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।