রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। শান্তিপূর্ণ এই সমাবেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণের জন্য আশপাশের জেলার নেতাদেরও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে ঢাকা ছাড়াও ৯টি সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর আগে ঢাকাসহ অন্তত চারটি বিভাগে এই সমাবেশ করতে চায় দলটি। এ কারণে শুক্রবার সব সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন স্থায়ী কমিটির দুই নেতা। এতে নেতাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেতারা আবারো বর্জনের ডাকে সাড়া দেওয়ায় জনগণকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া তারা আবারও মাঠপর্যায়ের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন। বিভিন্ন কর্মসূচির প্রস্তাব থাকলেও সমাবেশ এখন কার্যকর কর্মসূচি।
বৈঠকে ঢাকার সমাবেশের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরা হয়। পরে শুক্রবার সব সাংগঠনিক জেলার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন স্থায়ী কমিটির দুই নেতা। সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরাও বিভাগভিত্তিক জেলার সাথে এই ধারাবাহিক বৈঠকে অংশ নেন। সূত্র জানায়, সভায় সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতাকর্মীকে জমায়েত করতে জেলা নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হবে ৩০ জানুয়ারি। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক নেতা জানান, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর, কুমিল্লাসহ এবং ফরিদপুরসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী দিয়ে শুরু হওয়ার কথা। ৩০ জানুয়ারির আগে অন্তত চার থেকে পাঁচটি বিভাগে সমাবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ তারিখের মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে।
ঢাকার জনসভায় মূল ফোকাস থাকবে উল্লেখ করে নেতারা বলেন, জনগণ ভোট বর্জন করে বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছে বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। তাই সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর আগে তারা জনগণকে একটি বার্তা দিতে চান যে, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত একটি বড় দল হিসেবে বিএনপি মাঠে থাকবে। এছাড়া সমাবেশ হলে নেতাকর্মীরা আবারো উজ্জীবিত হবে। দেশ ছাড়াও বিদেশিদের কাছেও বার্তা যাবে। বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রয়েছে এবং আরও শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সরকার বাধা দেবে না বলে তারা আশা করেন।