ফরিদপুর সদর আসনের (ফরিদপুর-৩) সংসদ সদস্য ও সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন অসুস্থতার কারণে জাতীয় সংসদ থেকে তিন মাসের ছুটি নিয়েছেন। অসুস্থতার কারণে তিনি বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছুটির আবেদন পড়ে শোনান ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৯ (২) অনুযায়ী, শামসুল হক টুকু বলেছেন যে তিনি ৯ জুলাই ২০২৩ থেকে পরবর্তী ৯০টি বৈঠকের জন্য ছুটির জন্য আবেদন করেন। সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুসারে ছুটির আবেদনটি সংসদে পড়ে শোনানো হয় এবং ভোট দেওয়া হয়। ডেপুটি স্পিকার বলেন, অতীতে কিছু সংসদ সদস্য প্রথম, নবম, দশম ও চলতি অধিবেশনেও ছুটির আবেদন করেছিলেন এবং সংসদ তা মঞ্জুর করেছিল। ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আবেদন বিবেচনা করার জন্য তিনি সংসদ সদস্যদের অনুরোধ জানান।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন চিঠিতে উল্লেখ করেন, তিনি কোমর ব্যথা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করছেন। সংসদের কার্যপ্রণালী ১৭৯ এর ২ বিধি অনুসারে, আমি ৯ জুলাই ২০২৩ থেকে পরপর ৯০টি বৈ/ঠক দিবস সংসদে অনুপস্থিতির ছুটির প্রা/র্থনা করছি৷
জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ হোসেন সুইজারল্যান্ড থেকে মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি ছুটির আবেদন করেছেন। তার শরীরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।
মোশাররফ সর্বশেষ ৪ এপ্রিল, ২০২১ তারিখে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন। এটি ছিল ১১ তম জাতীয় সংসদের ১২ তম অধিবেশন। সে অধিবেশন বসেছিল মাত্র তিনদিন।
সংবিধানের ৬৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হয়ে যাবে যদি (ক) তিনি প্রথম তারিখ থেকে নব্বই দিনের মধ্যে শপথ বা ঘোষণা গ্রহণ করতে এবং তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত শপথ বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে না পারেন। তার নির্বাচনের পর সংসদের অধিবেশন; তবে শর্ত থাকে যে, স্পিকার, সঙ্গত কারণে, উক্ত মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে একই মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারেন। (খ) তিনি সংসদের ছুটি না নিয়ে নব্বইটির বেশি দিনের জন্য অনুপস্থিত থাকেন; (গ) সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়; (ঘ) তিনি এই সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ধারা (২) এর অধীনে অযোগ্য হন; বা (ঙ) এই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিস্থিতি দেখা দেয়।