সম্প্রতি গত কয়েকদিন আগেই শুভ মহালয়া দেখতে গিয়ে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন। তবে সৈভাগ্যবসত মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন অনেকেই। আর তাদের মধ্যে অন্যতম ছোট্ট দীপু। মায়ের সঙ্গে শুভ মহালয়া দেখতে গিয়েছিল সেও। কিন্তু হঠাৎই করেই নৌকাডুবে যাওয়ায় মাকে হারিয়ে (মৃত) ফেলে সে।
আর বাবার খবর এখনো পাওয়া যায়নি। মা-বাবা হারানো চার বছরের এই শিশুটিকে ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী শাম্মী আক্তার।
শনিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী দিপুর বাসায় যান। এ সময় তিনি দীপুর দায়িত্ব গ্রহণের ঘোষণা দেন। ছোট দীপুকে কোলে নিয়ে শাম্মী আক্তার বলল, বুকটা শান্ত হয়ে গেল। ওর কথা যখন শুনলাম তখন ছুটে এসেছি। দীপু আমার কোলে এসে বেশ শান্ত হয়ে গেল। আমার চার ছেলে মেয়ে আছে। আজ থেকে আরও একজন যুক্ত হলো। সবাই দোয়া করবেন। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই এবং সবার সহযোগিতা চাই। আমি সবসময় তার পাশে থাকব।
দীপুর বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ছত্রশিকারপুর গ্রামে। ভূপেন্দ্রনাথ ওরফে পানিয়া তার স্ত্রী রূপালী রানী এবং চার বছরের ছেলে দীপুকে নিয়ে অনেকের সাথে একটি নৌকায় চড়ে মহালয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মাঝ নদীতে নৌকা ডুবে গেলে নদীর স্রোতে তিনজন তিন দিকে চলে যায়। দিপু অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও ঘটনার পরদিন ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা দিনাজপুরের খানসামা থেকে ৪০ কিলোমিটার ভাটিতে দিপুর মা রূপালী রানীর (৩০) লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে দীপুর মায়ের লাশ পাওয়া গেলেও এখনো বাবার দেহ কোথায় খুঁজে পায়নি প্রশাসন। তবে তার বাবাকেও উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই দীপুর বাবার খোঁজ মিলবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।