বিএনপিকে দ/মন করতে সরকার ও বিচারক একত্রিত হয়ে নেমাছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির আইনজীবী নেতারা। ঢালাও সাজা ঠেকাতে তারা প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সম্প্রতি দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা।
তবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন বলেন, মামলা ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রমাণের ভিত্তিতে না/শকতাকারীদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির হিসাবে, গত দেড় মাসে ৫৮২ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে দেশের আদালত। তবে ২০১৩ ও ২০১৮ সালের না/শকতা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অধিকাংশ নেতাকর্মী পলাতক।
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দলটির আইনজীবী নেতারা বলছেন, সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সক্রিয় ও সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। শুধু তাই নয়, এক ডজন শীর্ষ নেতার বিচার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের দু/র্নীতি মামলার রায়ের দিন ধার্য রয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)।
দলটির আইনজীবীদের দাবি, পর্যাপ্ত প্রমাণ ছাড়াই রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বিচারকরা তাড়াহুড়ো করে মামলা নিষ্পত্তি করছেন।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন,
কোনো কোনো আদালতে আইন মন্ত্রণালয়ের অনেক চাপ থাকতে পারে। অথবা আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে নির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মীদের শাস্তি দিচ্ছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন,
বিচার বিভাগ সম্পর্কে জনগণ ভিন্ন সংকেত পাচ্ছে। নিম্ন আদালতে যা ঘটছে তা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা বলেন, না/শকতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা ও প্রমাণের ভিত্তিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়া হচ্ছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন আরও বলেন,
বিরোধী দলের ডাকা হরতাল-অবরোধে জনগণের গাড়ি পো/ড়ানো হচ্ছে, জানমালের ক্ষতি হচ্ছে- যারা এসব করছে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করলেই হবে। আমাদের দেশে বিদ্যমান আইনে প্রমাণ ছাড়া কোনো বিচার সম্ভব নয়। মামলা ও সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সাজা দেওয়া হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও দাবি করেছেন যে এইচআরডব্লিউ রিপোর্ট বাস্তবতা বর্জিত।