গোপালগঞ্জে করা মানহানির মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন গোপালগঞ্জের আদালত। বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-০১ এর বিচারক শেখ মোহাম্মদ রুবেল এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রুহুল কবির রিজভী ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অপমান করেন। এছাড়া মামলার বাদী দোলায়র হোসেন সরদার ২৩ জনকে রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনের খবর ২৩ ডিসেম্বর অনলাইনে এবং ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেলোয়ার হোসেন সরদারের মানহানির অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন সরদার বাদী হয়ে ২০ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ আদালতে মামলা করেন। পরে সিআইডি এ মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে রুহুল কবির রিজভীকে আসামি করে দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমকে খালাস দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
বুধবার এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীরের আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বাদী ও সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট দোলোয়ার হোসেন সরদার জানান, মানহানির মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর আদালতে হাজিরার দিন ধার্য ছিল আজ। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি আদালতে হাজির হননি এবং তার আইনজীবীরা নতুন তারিখ চাওয়া সত্ত্বেও অসুস্থতার কোনো নথিপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি। আজসহ তিন তারিখে তিনি আদালতে হাজির হননি। ফলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী আবুল খায়ের বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অসুস্থ। ফলে তিনি হাজির হতে পারেননি, আমরা পরবর্তী তারিখ চেয়েছি। কিন্তু রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।