দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যসহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘ প্রায় দুই বছর কারাভোগের পর শর্তসাপেক্ষে জামিনে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই প্রায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে তাকে।
তবে এদিকে এবার জানা গেল, হঠাৎই রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশের রাস্তায় (৭৯ নং রোড, গুলশান-২) একটি পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) এ চেকপোস্ট বসানো হয় বলে জানা গেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দিদার বলেন, হঠাৎ করেই রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ১ নম্বর (ফিরোজা) এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং এ সড়কের দুই পাশে চেকপোস্ট বসানো হয়।
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমকে বলেন, এই পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন বিএনপিকে সরকারের চলমান দমন-পীড়নের অংশ। তারা কার্যত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রেখেছে। তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করার উদ্দেশ্যেই এই চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। আমি সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে সব ধরনের নিপীড়ন ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানাই।
তবে এ বিষয়ে পুলিশের এক উর্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘জঙ্গি, মাদক ব্যবসায়ী, ও অপরাধীদের ধরতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। আর এরই ধারাবাহিকতার মধ্যদিয়ে রাজধানীর গুলশান এলাকায়ও তল্লাশি চৌকির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।’ তবে এ বিষয়টি মোটেও ভালো ভাবে নিচ্ছে না বিএনপির নেতাকর্মীরা।