রাজশাহী ভিসা সেন্টারে ভিসা নিতে এসেছেন গোলাম আযম। গোলাম আযমের বাড়ি ঢাকায়। অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা পাওয়ার আশায় ভিসার আবেদন জমা দিতে রাজশাহী ভিসা সেন্টারে এসেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জমা দিলে রবিবার ভিসা পাবেন। এই প্রত্যাশা নিয়েই তিনি এসেছেন।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে আমার অনেক আত্মীয়ের বাড়ি আছে। তারা বলছেন, রাজশাহীতে খুব দ্রুত ভিসা পাচ্ছেন। তাই ঢাকা থেকে ভিসা নিতে এসেছি। কিছু কষ্ট কম হবে।
গোলাম আযমের মতো প্রতিদিনই রাজশাহী ভিসা সেন্টারে অন্যান্য জেলার মানুষ আসছেন। এ অবস্থায় অন্য জেলার মানুষের চাপ বাড়লে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। এজন্য তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুমোদিত জেলা ছাড়া রাজশাহী থেকে ভিসা দেওয়া হবে না।
ভারতীয় ভিসা সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী কেন্দ্র থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলার বাসিন্দাদের ভিসা দেওয়া হয়। তবে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা লোকজনও রাজশাহীর ভারতীয় ভিসা সেন্টারে তাদের ভিসার আবেদন জমা দিতে পারবেন। ভিসা কেন্দ্রে ভিসা জমা দেওয়ার তারিখ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভিসা পাওয়া যাবে। এর আগে রাজশাহী সহকারী হাইকমিশনের অধীনে মেডিকেল ভিসা, ভ্রমণ ভিসা ও অন্যান্য ভিসার জন্য ২৫০০ থেকে ২৮০০ আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ২২-২৩টি ভিসা দেওয়া হয়েছে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে এবং প্রতিদিনের ভিত্তিতে প্রতিদিনের আবেদন নিষ্পত্তি করার জন্য, আবেদনগুলি এখন কিছুটা কম নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে, এই ভিসা কেন্দ্রে প্রতিদিন বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ১৫০০ আবেদন আসে। সমস্ত আবেদন প্রক্রিয়াকরণের পরের দিন ভিসা জারি করা হয়। মূলত এ কারণে অন্য জেলার লোকজন এখানে আবেদন করছেন।
রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বৃহস্পতিবার রাজশাহী নগরীর বর্নালী জংশনে অবস্থিত ভিসা সেন্টার পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারের অধীনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের লোকজনকে ভিসা দেওয়া হয়। বর্তমানে রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারটি দ্রুত ভিসা প্রদানের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে, তাই দেশের অন্যান্য স্থান থেকে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারাও ডিও লেটার পাঠিয়ে ভিসা সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। এতে এ অঞ্চলের মানুষের আবেদনপত্র জমা দিতে বিলম্ব হচ্ছে। এমতাবস্থায় এই ভিসা কেন্দ্র থেকে অন্য কোনো বিভাগ বা জেলার লোকজনকে ভিসা দেওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আমরা সম্প্রতি এরকম বেশ কিছু ভিসার আবেদনও বাতিল করেছি।