.আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনিকে ‘বেয়াদব’ আখ্যা দিয়েছেন।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নেন আহমেদ হোসেন ও রনি।
টকশোর একপর্যায়ে আহমদ হোসেন বলেন, বিএনপি রিসার্চ সেল বলে কিছু আছে কিনা জানি না। হ্যাঁ, গবেষণা চলছে। যারা গবেষক তারা উ/গ্রবাদী।
শেখ হাসিনাকে কীভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা যায়, কীভাবে আওয়ামী লীগকে ধ্বং/স করা যায়, কীভাবে পাকিস্তানি কায়দায় ফিরিয়ে আনা যায়, কীভাবে জিন্নাহ তুরেশন তত্ত্বকে সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে রূপান্তর করা যায়, বিএনপি নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগের কত নেতাকে ফাঁ/সিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে, এসব নিয়ে গবেষণা চলছে। আগামীতে শেখ হাসিনার পরিবারকে কীভাবে ধ্বং/স করবেন।
বিএনপি নেতা রনিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রনি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী অপরিপক্ব, এটা বেয়াদবির চ/রম সীমা। যার হাতে নৌকা নিয়ে এমপি হয়েছেন তাকে অপরিপক্ব বলা হয়। কতটা অভদ্র এবং অশ্লীল হতে পারে। তিনি যে অপরিপক্ব বলে বেয়াদবি করেছেন, তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। শেখ হাসিনার বাংলাদেশের কথা কে কেয়ার করেন? তিনি শুধুমাত্র মানুষের জন্য কেয়ার করেন, অন্য কেউ নয়।
এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উপস্থাপক আহমদকে বলেন, আমি আপনার ‘বেয়াদব’ কথাটি নিতে পারলাম না। আমি না মানলে উপস্থাপকের ওপর চড়াও হন আহমদ।
পরে উপস্থাপক আওয়ামী লীগ নেতা আহমেদকে বলেন, তাহলে আপনি রনিকে গ্রেপ্তার কর উচিত। জবাবে আহমদ বলেন, অবশ্যই তাকে গ্রেফতারের আওতায় আনা হবে। আজ অথবা কাল।
পরে আওয়ামী লীগ নেতার অভিযোগ প্রসঙ্গে গোলাম মাওলা রনি বলেন, যারা ‘ক’ লিখতে কলম ভাঙে ১০টা, তারা (আহমদ হোসেনকে উল্লেখ করে) বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ার পর আজ এই অবস্থা। । শেখ হাসিনা বিপদে পড়েছেন। আমি বলেছি যে কত অপরিপক্ক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত; শেখ হাসিনা এখানে সব অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত নেন না।
শেখ হাসিনা ব্যাংক চুরির সিদ্ধান্ত নেননি। এই যে আহমদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিটি, কেউ টাকা নিলে শেখ হাসিনা সে সিদ্ধান্ত নেন না। সারাদেশে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যে অপকর্মের খবর পাওয়া গেছে, তা শেখ হাসিনার নয়, আহমদ হোসেনের মতো লোক করেছে।
শেখ হাসিনার প্রতি আপনার এখনো গভীর আস্থা আছে; তবে বাকি রইলো- টকশো উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে রনি বলেন, আল্লাহ যখন কাউকে দেশের প্রধানমন্ত্রী করেন, তিনি যেই হোন না কেন, তার জন্য আল্লাহর হুকুম আছে। শেখ হাসিনা এখন যে চেয়ারে আছেন তাকে মর্যাদা দেওয়া সবার কর্তব্য।
গোলাম মাওলা রনি একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হন। পরে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপিতে যোগ দেন। তারপর থেকে তিনি যেকোনো বিষয়ে আলোচনায় রয়েছেন।