বাংলাদেশ ক্রিকেট অঙ্গনে গত কয়েকদিন ধরেই নানা ইস্যু নিয়ে তোলপাড় চলছে। এশিয়া কাপে টাইগারদের ব্যর্থ মিশন, বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা; সব মিলিয়ে নানা বিতর্কে তামিম-সাকিবরা। তার মধ্যে দেশের সেরা ওপেনার তামিমকে ছাড়া লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের ভারত সফর উল্লেখ্য।
তামিমের হঠাৎ বাদ পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তামিমের বিশ্বমঞ্চে আধিপত্যের অভাব নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। তবে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় তামিম জানান, পরিকল্পনা করেই তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তার (তামিম) মতে, ফিটনেস রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি বিশ্বকাপ খেলার জন্য ফিট ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ফিজিওর কাছ থেকে সবুজ সংকেতও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফিজিওর কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েও বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। আর কারণ হিসেবে তিনি বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তার কথা উল্লেখ করেছেন।
এদিকে নানা বিতর্কের মধ্যে বুধবার ভারতে পৌঁছেছে টাইগাররা। সেখানে দুই দিন বিশ্রামের পর প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামতে হবে টাইগাররা। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গুয়াহাটির বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২ অক্টোবর একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে সাকিব অ্যান্ড কোং।
অন্যদিকে তামিমের বো/মা ফাটানোর পরপরই দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে তার বিভিন্ন মতামত ও ক্রিকেট বোর্ডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক সাকিব।
লাল-সবুজ নেতার সাক্ষাৎকার প্রচারিত হওয়ার প্রায় ৩০ মিনিট পর (রাত ১১.৫০), সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ছোট ভাই মুরসালিন বিন মুর্তজা ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন। এেই স্ট্যাটাসকে ঘিরে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।
স্ট্যাটাসে মোরসালিন লিখেছেন, পিকচার বাকি আছে এখনও, ওয়েট, ওয়েট, ওয়েট।
এর আগে সাক্ষাৎকারে মাশরাফি সম্পর্কে সাকিব বলেছিলেন, আমি নিশ্চিত মাশরাফি ভাই অধিনায়ক হিসেবে ২৩ এর বিশ্বকাপ খেললে ভালো হতো; সবাই খুশি হত। আমি (সাধারণ মানুষের) সাইকোলজিটা বুঝি। তারা খুব সহজ-সরল। এ কারণে তারা আসলে মনে করেন মাশরাফি ভাই যদি এখনো খেলোয়াড় বা অধিনায়ক বা দলের অংশ হিসেবে আসেন তাহলে সবকিছু ভিন্ন হবে।