প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু কাউকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি। সম্প্রতি মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিবি) নির্দেশ দেন আদালত। দায়িত্ব নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দেয় ডিবি পুলিশ। ডিবি দূতাবাসকে মামলার কোনো ‘তথ্য’ ও ‘পর্যবেক্ষণ’ জানাতে বলেছে।
২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট সিটিজেনস ফর গুড গভর্নেন্স (সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুরের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন। রাতের খাবার খেয়ে গাড়িতে ওঠার সময় তার গাড়িতে হামলা হয়। ওই হামলার ঘটনায় বদিউল আলম মজুমদার বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৯ জনকে আসামি করে। আদালত ২০২২ সালের ১ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন। পরে মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৬ আগস্ট। প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত ৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, খুব শিগগিরই তদন্ত শেষ হবে। সাক্ষ্য শেষ। দূতাবাসের কাছে কোনো তথ্য আছে কিনা জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিলে ডিবির সহকারী কমিশনার রাজন কুমার সাহাকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাসের আঞ্চলিক নিরাপত্তা অফিসের সিনিয়র ফরেন সার্ভিস ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটরের কাছে চিঠিটি পাঠিয়েছেন তিনি। চিঠিতে ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মার্চে মামলায় ৯ জনের নামে অভিযোগ গঠন করে আদালত। আসামিরা হলেন- ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, নাইমুল ইসলাম, রাজিবুল ইসলাম, সাজু ইসলাম, শহিদুল আলম খান, সিয়াম, অলি আহমেদ ও মোজাহিদ আজমি।
এরপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু আরও তদন্তের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আরও তদন্তের নির্দেশ দেন। চিঠিতে বলা হয়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কথা হয় বাদী বদিউল আলম মজুমদারের সঙ্গেও। সম্পাদনাঃ সালেহ বিপ্লব