বলিউডের এক সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও কিংবদন্তি অভিনেতা অনিল কাপূর। ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় ও ব্যবসায় সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি, আর সেই সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছেন কোটি কোটি ভক্তের মনে। তাই তাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়া কিছুই নেই। পর্দায় তার সহমর্মী হাত তিনি অনেকের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু ব্যক্তিজীবনে? কী ভাবে অনিল তার কাছে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন এক সাম্প্রতিক বিমানযাত্রায়, সেই অভিজ্ঞতার কথা বললেন তার সহযাত্রী শিখা মিত্তল।
ভাগ করে নিলেন অনিলের সঙ্গে তোলা নিজস্বীও। শিখা অনেক গুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেছিলেন যে তিনি তারকাদের সাথে পরিচয় করেন না, তবে অনিল তাঁর কাছে বিশেষ। শেষ ফ্লাইটে শিখার পাশের সিটটা ছিল অনিলের। এটা নিয়ে আগে থেকেই উত্তেজিত ছিলেন তিনি। তবে উড়ান মাঝ আকাশে থাকতেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।
শিখা বলেন, আকাশে ওড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটি নড়বড়ে হতে শুরু করে। হহঠাৎ মালপত্র রাখার জায়গার ঢাকনা খুলে যায়। আতঙ্ক তাকে গ্রাস করেছে। মহিলা যাত্রীর হাত ধরে অনিল কাপুর, মাঝআকাশে হুলস্থুল কাণ্ড! শিখার কথায়, “আমি কখনই প্লেনে উঠে ঠিক বোধ করি না।
সেদিনের ফ্লাইটের অস্থির সময়ে দু’টি আসনের মাঝখানের ডিভাইডারে নার্ভাসভাবে হাত রাখলে অনিল তার হাত ধরে। তিনি তাকে আশ্বস্ত করলেন, “সব ঠিক আছে। তোমার নাম বলো চলো কথা বলি।” শিখা বলল, দুই ঘণ্টার ফ্লাইটে তারা একে অপরের সাথে কথা বলেছে। হাসতে থাকেন।
শিখা বলেন, যাত্রা কখন শেষ হয়ে গেল বুঝতেই পারেননি। বিমানটি মাটিতে স্পর্শ করার সাথে সাথে অনিল তাকে বলেছিলেন, “অনেকে আপনাকে বলবে যে দুশ্চিন্তা একটি খারাপ জিনিস, কিন্তু আজ আমরা আপনার চিন্তার কারণে কথা বলার এবং হাসির সুযোগ পেয়েছি। এখন আপনি আমাকে দিল্লিতে কফি খাওয়াতে পারেন।” শিখা মৃদু হাসে। অনিল তাকে জড়িয়ে ধরে বিদায় জানায়।
১৯৭৯ সালে ‘হামারে তুমহারে’ নামক একটি সিনেমায় ছোট চরিত্রে অভিনয়ে মধ্যদিয়ে বড় আত্মপ্রকাশ করেন অনিল কাপুর। আর এরপর থেকেই মূলত অভিনয়ে নিয়মিত হন তিনি। বর্তমানে বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা হিসেবে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।