নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলের দলটির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার ভোটের আগের দিন নির্বাচন নিয়ে বি/স্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী টাকার বিনিময়ে ভোট কিনছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তৈমুর আলম বলেন, সরকার কি বুকে হাত রেখে বলতে পারবে যে তারা সফলভাবে দেশ চালাচ্ছে? সরকার বাসে আ/গুন বন্ধ করতে পারে না। ট্রেনের বগি পো/ড়ানো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন ট্রেনে মানুষ মা/রা যাচ্ছে। নির্বাচনে প্রকাশ্যে টাকা বিতরণ করা হচ্ছে, এটা তারা থামাতে পারবে না। সরকার বারবার বলছে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করবে, কিন্তু পত্রপত্রিকায় টাকা বিতরণের খবর প্রকাশিত হলেও পুলিশের কোনো ব্যবস্থা নেই। সরকার বলছে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রূপগঞ্জ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি প্রার্থী হিসেবে বলতে চাই, এই রূপগঞ্জে শকুনের হামলা হয়েছে। ভূমিদস্যুদের শকুনি পাঞ্জারা নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলে সরকারের অনুগত পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে নৌকার প্রার্থী ও তার ছেলেসহ চারজন রয়েছেন। এছাড়া নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
রূপগঞ্জে টাকার বিনিময়ে ভোট কেনা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘রূপগঞ্জের ভূমিদস্যুরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তারা অর্থ বিতরণ করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং জনগণের চরিত্র হরণ করছে। ডামি প্রার্থী একটি নৈতিকতা বিরোধী কর্মকাণ্ড। কারণ এতে রাষ্ট্র ও জনগণের অর্থ ব্যয় হয়। রূপগঞ্জে টাকার ছড়াছড়ি খুবই জঘন্য। আমি নির্বাচন কমিশনকে বলব এই টাকা বিতরণ বন্ধ বা তাদের প্রার্থিতা বাতিলের ব্যবস্থা করতে।
ভূমিদস্যুরা ভোট কিনতে টাকা নিয়ে এসেছে দাবি করে তৈমুর বলেন, ভূমিদস্যুরা তাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে টাকার বস্তা নিয়ে এসেছে। সরকারি দলের লোকজন এসব করছে। মাটি কামড়ে হলেও নির্বাচনে থাকব। সরকারী দলের প্রার্থীদের কি হয়েছে এসব কাহিনী জনগণ ও বিশ্বের সামনে তুলে ধরবো।
বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না করলে- লাভটা কি হয়, বিএনপিকে পাট ক্ষেতে ঘুমাতে হয়। বিএনপি নির্বাচনে আসবে না, নির্বাচন ঠেকাতে পারবে কি? সরকার গঠনে বাধা দেওয়া যাবে না। বিএনপি স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন করে না। লাভ কি? কোনো প্রার্থী ব্যর্থ হলেও অন্তত নেতৃত্ব দাঁড়াতেন। বিএনপি রাজনীতি করবে না, তাহলে নেতাকর্মীদের রক্ষা কোথায়? নির্বাচনে না এলে সরকারকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দেওয়া হয়। কঠোর রাজনীতি করে সরকারকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দেব কেন?’