পসেইডন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড একটি কোম্পানি যা চট্টগ্রাম বন্দরের বাইরে মাদার ভেসেল থেকে লাইটারেজ ভেসেলের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন করে। এক মাস আগে কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎ করেই ১৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। এ নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে, পুলিশ তদন্ত করে এবং কোম্পানির অ্যাকাউন্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে।
শাহনেওয়াজ তিতুমীর সাব্বির (২৬), কর্মকর্তা, কোম্পানির অনলাইন ব্যাংকিং এবং অ্যাকাউন্টিং কার্যক্রম দেখাশোনা করতেন। পুলিশ জানায়, এই কাজ করতে গিয়েই সে অনলাইন জু//য়ার জগতে প্রবেশ করে। টাকা জোগাড় করতে প্রতারণার আশ্রয় নেন তিনি। অফিসের মেইল আইডির মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করে নিয়ে নেওয়া হয় ১৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা।
তিনটি ব্যাঙ্ক সেই টাকা ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে স্থানান্তর করে এবং ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তর করে। তবে বিদেশে পাচারের আগেই তিতুমীরকে আটক করে পুলিশ।
শাহনেওয়াজ তিতুমীকে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় সাব্বিরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারের পরদিন ২৭ সেপ্টেম্বর তিতুমীর জালিয়াতির কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
আগ্রাবাদ শহরে পসেইডন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের অফিসে কর্মরত ছিলেন তিতুমীর। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হওয়ার ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে ডাবলমুরিং থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা দেবব্রত দাস।
পুলিশ ও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর কোম্পানির এক কর্মকর্তা টাকা তুলতে প্রিমিয়ার ব্যাংকে যান। ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে পসেইডনের অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নেই। এরই মধ্যে অনলাইনে ট্রান্সফার করা হয়েছে ১৮ লাখ টাকা ৪২ হাজার টাকা। সংগৃহীত টাকা হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ায় হতবাক কর্মকর্তারা।
মামলা দায়েরের পরের দিন ২৪ দিন পর পুলিশ তাদের কোম্পানির অ্যাকাউন্ট বিভাগে কর্মরত তিতুমীরকে এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ও আদালতে জবানবন্দিতে টাকা গায়েব হওয়ার রহস্য উদঘাটন হয়।