বিএনপির গণমিছিল শুরুর পর পুলিশ এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সং’ঘাতের সৃষ্টি হলে আব্দুর রশিদ আরেফিন নামের একজন বিএনপি নেতা প্রয়াত হন। এই ঘটনার পর রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন প্রয়াত আব্দুর রশিদের বাড়িতে তাদের স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করতে যান। আরেফিনের স্বজনদের সাথে আলাপকালে তিনি তার প্রয়ানের কারণ বিষয়ে শোনেন এবং সেইসাথে তিনি চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন। তিনি আরেফিনের স্বজনদের সমবেদনা জানান।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে মন্ত্রী পঞ্চগড় বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের পাথরাজ চন্দনপাড়া গ্রামে আরেফিনের বাড়িতে যান। মন্ত্রীর বাড়ি একই ইউনিয়নের মহাজনপাড়া গ্রামে। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
বিএনপি নেতা আরেফিনের প্রয়ানের কারণ সম্পর্কে চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের হামলায় তার প্রয়ান ঘটেনি। আগে থেকেই অসুস্থ থাকায় সেখানে দৌড়াদৌড়ির মধ্যে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাকে প্রয়াত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, আরেফিন আগে থেকেই হৃদরোগে ভুগছিলেন। ২০১৬ সালে, ভারতে কার্ডিওলজিস্ট দেবী শেঠি দ্বারা পরিচালিত একটি হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি করা হয়েছিল। তাকে সাবধানে চলাচলের জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু নিজের অসুস্থতা ও পরিবারের কথা না ভেবে তিনি বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এ সময় বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, জেলা জজ আদালতের পিপি আমিনুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, মন্ত্রীর ছেলে ব্যারিস্টার কৌশিক নাহিয়ান নাবিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ শে ডিসেম্বর শনিবার পঞ্চগড় জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা গণমিছিল শুরু করলে সেখানে পুলিশের সাথে সং”ঘাতের সৃষ্টি হয়। এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে এবং এক পর্যায়ে টিয়ারশেল ছোড়ে। এই সময় আবদুর রশিদ আরেফিন সেখানে দৌড়াদৌড়ি করার সময় মাটিতে পড়ে যান এবং তাকে তাৎক্ষনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু চিকিৎকেরা তিনি আর নেই বলে জানান।