দেশে বিরোধী দলগুলোর হরতাল-অবরোধের মধ্যে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে অগ্নিসংযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। রোববার এফডিসিতে সংগঠনটির সদস্যরা “আগুন সন্ত্রাস মানবাধিকার লঙ্ঘন: রুখে দাও আগুন সন্ত্রাস” এই প্রতিপাদ্যে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন।
যেখানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারসহ কমিটির সদস্য অভিনেতা রিয়াজ, ফেরদৌস, অঞ্জনা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, শাহ আলম কিরণ, অভিনেত্রী নূতন, তারিন, অভিনেতা আহসানুল হক মিনু প্রমুখ।
এ সময় অভিনেতা রিয়াজ বলেন, বিজয়ের মাসে মানবাধিকার দিবসে আমি বলতে চাই আগুন সন্ত্রাস মানবতাবিরোধী অপরাধ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অগ্নিসংযোগের কারণে শিশুরা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। ছুটির দিনে তাদের স্কুলে যেতে হয়। স্কুলের সময়সূচী যেমন পরিবর্তিত হয়, তেমনি বাজারে জিনিসপত্রের দামও পরিবর্তন হয়; এ কারণে যানবাহন চলাচল না করায় পণ্যের দাম বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের নাগরিক অধিকার খর্ব ও লঙ্ঘন করছে, আমি মনে করি তারা মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত। তাদের এখনই থামাতে হবে। আগুন সন্ত্রাস বন্ধ না করলে মানুষ ভালো থাকবে না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সুন্দর বাংলাদেশকে নষ্ট হতে দেব না। এ দেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি এই অগ্রগতি বন্ধ করার চেষ্টা করি, আমরা মনে করি এটা এক ধরনের সন্ত্রাস।
চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, যে পুণ্যভূমিতে রাজাকারের শাস্তি হয়েছে, স্বাধীনতার ৫২ বছরে পা রেখেছে সেখানে এখনো আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়। কিন্তু কেন? তাতার মানে রাজাকারের বংশধররা এখনো আছে। যার জেরে আগুন সন্ত্রাস, বোমা হামলার ঘটনা ঘটছে। যে দেশ থেকে হরতাল অবরোধ হারিয়ে গিয়েছিল সেগুলো আবার ফিরে এসেছে। কাজেই আমাদের এখনই বুঝতে হবে কোনটা সাদা কোনটা কালো। সকলের সহযোগিতায় আমরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় এনে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চাই।
অভিনেত্রী নিপুণ বলেন, আমরা হরতাল অবরোধ ও পেট্রোল বোমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করছি। নির্বাচন এলেই কেন এগুলো হয়? পেট্রোল বোমা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা নির্বাচনসহ শান্তিপূর্ণভাবে কিছু করতে পারব না।
অভিনেত্রী অঞ্জনা বলেন, গাজায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সেই দিকের মতো আমরা নিজেদের কি দেখছি? কীভাবে দেখবো জ্বালাও পোড়াওয়ের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছি। আমরা শক্ত হাতে এর বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে বন্ধ করতে চাই।