আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা ইতিমধ্যে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র ও হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় জড়িত; সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে নতুন করে গ্রেপ্তারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
বুধবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সহসভাপতি নাজমুল আলম নাজু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোন্নাফ মুকুলসহ বেশ কিছু নেতাকর্মীকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়।
নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। যে নির্বাচন সংবিধানের সব নিয়ম মেনে চলছে, সেই নির্বাচনে কেউ অংশ না নিলে নির্বাচন থেমে যাবে না। অনেক দল আছে যারা নির্বাচনে অংশ নেবে। দুই দল অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না কেন? নির্বাচনে অংশগ্রহণ একটি রাজনৈতিক অধিকার। কেউ যদি তাদের অধিকার প্রয়োগ না করে, তাহলে সেটা তাদের ব্যাপার।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৭৫ সালে খন্দকার মোশতাক ও মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেন, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা-এ সমুদয় হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধু পরিবারকে ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা। যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল সে ঘৃণ্য রাজনীতি থেকে তাদের উত্তরসূরিরা এখনো সরে দাঁড়ায়নি। সে ধারাবাহিকতা এখনো বহন করে চলছে জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি।’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মাটি থেকে এই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি নির্মূল করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, শেখ রাসেলের মতো একজন অবুঝ শিশুর জন্য এ দেশকে নিরাপদ ও বসবাসের উপযোগী না করা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।