বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কোনো কৌশল আওয়ামী লীগের নেই বলে মন্তব্য করেছেন সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত ৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ।
নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত বিএনপির নির্বাচনে আসার কোনো লক্ষণ নেই। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এখনো আন্দোলন করছে দলটি। শেষ পর্যন্ত দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে প্রয়োজনে তফসিল পেছানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন একাধিক নির্বাচন কমিশনার।
আওয়ামী লীগও বিএনপি নির্বাচনে এলে স্বাগত জানাবে বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তারা ভোট এলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তারা স্বাগত জানাই। তাদের দলের কেউ আসতে পারে। কেউ কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। ৩০ তারিখে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মানুষ নানা রকম মন্তব্য করছেন। অনেকে অনেক জল্পনা-কল্পনা করছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই সব শেষ হবে। তাহলে অনেক সমালোচনা বন্ধ হবে।
শরিক দলগুলোর মধ্যে আসন বণ্টন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর মধ্যে আমরা পর্যবেক্ষণ করব, সমন্বয় করব। যা প্রয়োজন তাই করব। ১৭ তারিখের মধ্যে সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিলে কি বিশৃঙ্খলা হবে? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দেখছি কে কাকে চাচ্ছে। আমাদের কৌশলগত সিদ্ধান্ত আছে। ১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। আমরা এটি পরিবর্তন এবং সংশোধন করতে পারব। আমাদের কৌশলগত দিকনির্দেশনা থাকবে।
সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন পরিচালনাই আমাদের লক্ষ্য। ভিন্ন মনের ভিন্ন ভিন্ন মতামত থাকবে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করে আমরা দেখাতে চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি।