অবশেষে পাওয়া গেল কানাডায় আত্মগোপনে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরী। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসির বিস্তারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ক্যামেরায় ধরা পড়েন তিনি।
টরন্টো থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে একটি ছোট শহর ইটোবিকো। এখানে, একটি কন্ডোমিনিয়ামের তৃতীয় তলায়, একজন ৭০-বছর-বয়স্ক ব্যক্তি থাকেন যিনি প্রতি শরতে বারান্দায় আসেন ফুলের জন্য। কানাডায় অবাধে বসবাস করা এই বৃদ্ধ বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড মানুষ নূর চৌধুরী। ক্যামেরায় প্রথম বারের মতো দেখা গেল।
শুক্রবার মধ্যরাতে কানাডার সিবিসি টেলিভিশনে প্রচারিত ৪৩ মিনিটের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ‘দ্য অ্যাসাসিন নেক্সট ডোর’-এ দেখা যায় ৭০ বছর বয়সী সাদা চুলের কেতাদুরস্ত নূর চৌধুরীকে। একটি সিবিসি রেডিও সাক্ষাৎকারে নির্দোষ দাবি করা সত্ত্বেও, তিনি ক্যামেরা হাতে ফিফথ স্টেটের টেলিভিশনের সাংবাদিকদের দেখে পালিয়ে যান। প্রতিবেদনে নূরের অপরাধের কথাও বলেছেন বঙ্গবন্ধু হ/ত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বঙ্গবন্ধুকে গু/লি করে হত্যার পর নূর বিভিন্ন দেশে কূটনীতিক হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে হংকং থেকে পালিয়ে কানাডায় চলে যান। কানাডা ২০০৬ সালে নূরের শরণার্থী দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং তাকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তিনি একটি নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়নের জন্য আবেদন করেছিলেন যে তিনি দেশে ফিরে গেলে মৃ/ত্যুদণ্ডের সম্মুখীন হবেন। আর এভাবেই কানাডার মৃ/ত্যুদণ্ড বিরোধী অবস্থানের সুযোগ নিয়েছিলেন নূর।