হঠাৎই পাকিস্তানে আবারো ঘটে গেছে অনাকাঙ্খিত একটি ঘটনা। পুলিশের ক্যাম্পে হা’ম’লা’ করে ডাকাত দল। আর এই ঘটনা রবিবার ভোরে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে এ ঘটে। জানা যায় ডা’কা’তে’র বিশাল বাহিনী পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায়। সেখানে সাতজনের মৃ’ত্যু’ হয়। নি’হ’ত’দে’র মধ্যে একজন ডিএসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন। আরও ২০ জন পুলিশকে অ’প’হ’র’ণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ডাকাতদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ঘটকি জেলার কাচা এলাকায়। কয়েকদিন আগে ওই এলাকার ডাকাতদের বিরুদ্ধে তিনজনকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। অপহৃতদের খুঁজে বের করতে ডিএসপি আব্দুল মালিক ভুট্টোর নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ডাকাতদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির বাড়ির কাছে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে। সেই খবর পেয়ে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ডাকাত দল হামলা চালায়।
জানা গেছে, প্রায় দেড় শতাধিক ডাকাত একসঙ্গে পুলিশ ক্যাম্পে হা’ম’লা ‘চালায়। পুলিশ সদস্যরা তাদের অত্যাধুনিক ‘অ’স্ত্র’ সামলাতে পুরোপুরি অক্ষম। তাদের লক্ষ্য করে প্রায় ২৫টি র’কে’ট’ ছোড়া হয়। এ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে অবিরাম গু’লি’ চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল মালিকের মৃ’ত্যু’ হয়। তার সঙ্গে আরও ছয় পুলিশ কর্মকর্তাও প্রাণ হারান। সেই সঙ্গে কুড়ি পুলিশ সদস্যকে অ”পহ’র’ণ’ করা হয়।
ডাকাতরা সাত পুলিশ সদস্যের মৃ’ত’দে’হ’ তাদের ডেরায় নিয়ে যায় এবং উল্লাস করে। তারা ‘লা’শ’ ফেরত দিতে চাননি। তবে প্রভাবশালী ব্যক্তির কথায় রাজি হয়ে ‘লা’শ’ ফেরত দেয় দস্যুরা। প্রাথমিক অনুমান, কয়েকদিন আগে পুলিশের সঙ্গে সং’ঘ’র্ষে’ এক ডাকাত ‘মা’রা’ গেছে। প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। আপাতত পুলিশ ডাকাতদের পায়ের ছাপ খুঁজে হা’ম’লা’কা’রী’দের’ শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের এই এলাকা বরাবরই দস্যুদের কবলে পড়ে। ডাকাতদের বিরুদ্ধে টার্গেট কি’লিং’, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অনেক অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ দিকে এই ঘটনায় এখন নতুন করে থমথমে অবস্থা বিরাজ পুরো পাকিস্তানে। পুলিশের নিরাপত্তা নিয়েও শংকা বেড়েছে দেশটিতে।