যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আবারোও প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন ম্যাথিউ মিলার। এ প্রসঙ্গে বরাবরের মতো একই উত্তর দেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনি (সাংবাদিক) আমাকে বারবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে টেনে আনছেন। এবং আমিও এটা করছি।
সোমবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মিলার বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তার আশা পুনর্ব্যক্ত করেন।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করেন বাংলাদেশি সাংবাদিকরা। তারা বাংলাদেশ সরকারকে স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপে বসার আহ্বান সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার আবারো একতরফা নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও গুম করা। বাংলাদেশে কোনো দলের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কী উদ্যোগ নিচ্ছে?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে সমর্থন করে না। শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন- বাংলাদেশের মানুষ যা চায়, যুক্তরাষ্ট্র চায়। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার, বিরোধী দল এবং সুশীল সমাজ সহ সকল অংশীদারদের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
সেই ব্রিফিংয়ে, মিলারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু তিনটি প্রধান দলকে নিঃশর্ত সংলাপে বসতে চিঠি দিয়েছেন কিনা। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। ৩০টির বেশি দল নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। শুধু বিএনপিই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপিকে বাদ দিলে কি নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে?
এ প্রশ্নে ম্যাথু মিলার বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বারবার তাকে টেনে আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।