প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেই। তিনি বলেন, অনেকেই বলছেন, নির্বাচন তিন মাস পিছিয়ে দিলে ভালো হতো। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ছিল না। প্রথমত, তিন মাসের বিলম্ব বাড়ানোর এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। নির্বাচন কমিশনের সীমাহীন ক্ষমতা আছে বলে অনেকেই ভুল ধারণার মধ্যে পড়েন। প্রয়োজনে তিন মাস, তিন বছর বা ৩০ বছর পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে- এগুলো সত্য নয়।’
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট দ্বারা আয়োজিত.
নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হবে না মন্তব্য করে সিইসি বলেন, নির্বাচন কখনোই হালকাভাবে নেওয়ার বিষয় নয়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত নির্বাচন স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছায়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আমরা বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন দেখেছি। পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে বা হয় না, তবে এটি একটি নির্বাচন যদি এটি গ্রহণযোগ্য হয়। কারণ এটা কখনোই দৃঢ়ভাবে বলা যায় না যে সামান্য পরিমাণও অনিয়ম হবে না।
তিনি বলেন, কিছু নির্বাচনী উত্তাপ থাকবে এবং সেখানে বিশৃঙ্খলা, কিছু স/হিংসতা হতে পারে। তারা খুব বেশি শর্তের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু সেই অসহনীয় স/হিংসতা রোধ করতে হবে। অনেক জায়গায় ভোটাররা প্রশ্ন করেন, আমি কি ভোট দিতে পারি? যে কারণেই হোক, একটা অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। তা ঠেকাতে আগেই ২০১৪ সালের নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছিল। সে নির্বাচন প্রকাশ্যে আসেনি স/হিংসতা ছিল।২০১৮ সালের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু পরে সেই নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক হয়। এটা সত্য যে জনমত ইতিবাচক ছিল না।
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে ভোটকেন্দ্রের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। নির্বাচনকে জনগণ এবং সামগ্রিকভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার।