নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেন, জাল ভোট পড়লেই প্রমাণ সাপেক্ষে ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টসহ সরকারি কর্মকর্তাদের অবিলম্বে বরখাস্ত করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীটিকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হবে। মঙ্গলবার বিকেলে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন জিরো টলারেন্স দেখাবে। প্রার্থী যত শক্তিশালী বা দুর্বল হোক- কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ কমিশনের কাছে সবাই সমান। নির্বাচন কমিশন শতভাগ নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করবে। দেশি-বিদেশি সবাই আগামী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন। প্রশাসনের সকল ইউনিট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতীত থেকে শিক্ষা নিতে এবং ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের নজির স্থাপনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে তারা কাজ করছে বলেও নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছেন।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান আরও বলেন, সাংবাদিকরা যাতে বিনা বাধায় তাদের কাজ করতে পারেন সেজন্য আইনে অনেক সংশোধনী আনা হয়েছে। সাংবাদিকদের কাজের সুবিধার্থে তাদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়। কেউ সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিলে, হা/মলা করলে, মা/রধর করলে, ক্যামেরা বা কোনো যন্ত্রপাতি নষ্ট করলে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দিকে ভোটাররা চেয়ে আছে, জনগণ চেয়ে আছে, প্রার্থীরা চেয়ে আছে, বিরোধী দলগুলো আমাদের খুঁজছে, বিশ্বের বড় বড় দেশ চেয়ে আছে। তাই সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের দেশকে বাঁচাতে হবে, গণতন্ত্র বাঁচাতে হবে, অর্থনীতিকে বাঁচাতে হবে।