ট্রান্সজেন্ডার বিষয় নিয়ে কথা বলায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ওই ঘটনার পর রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এই শিক্ষক। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি তার ছবি ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে রাজধানীর একটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ব্র্যাকের এই সাবেক শিক্ষক।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তিনি রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী আসিফ মাহতাব উৎস গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ আনুমানিক রাত ৮ ঘটিকায় উত্তরা পশ্চিম থানাধীন বাসায় থাকাকালীন ফেসবুকে দেখতে পাই কে বা কাহারা আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যাবলি সংঘটিত করছে।
আমার ফেসবুকের নাম ASIF MAHTAB (আইডি লিংক) এবং আমার ফেসবুক পেইজ ASIF MAHTAB UTSHA (পেইজ লিংক) এবং ইন্সটাগ্রাম আইডির নাম asif mahtab.utsha (ইন্সটাগ্রাম লিংক) এই ৩ টি সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট ছাড়া আমার আর কোনো একাউন্ট নাই। তাই কেউ বিভ্রান্ত হবেন না
এমতাবস্থায়, বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সাধারণ ডায়েরীভুক্ত করে রাখা প্রয়োজন।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাব অভিযোগ করেন, স্কুলের সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প অন্তর্ভুক্ত করে তাদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে। প্রতিবাদে তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ’ থেকে ‘শরীফা’ গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। এ ঘটনায় তাকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।