জেলহ/ত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ দাবি আদায়ে তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ)। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় তিনি মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্ন গোল চত্বর থেকে জাতীয় সংসদ ভবন অভিমুখে মিছিল করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করবেন।
বুধবার (১ নভেম্বর) সোহেল তাজ নিজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং কারাগারে নি/হত চার জাতীয় নেতার একজন তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতির জীবনে একটি কলঙ্কিত ও বেদনাদায়ক দিন। এই দিনে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে (সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামান) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হ/ত্যা করা হয়। এই কলঙ্কিত দিবসটি জাতীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্ন গোল চত্বর থেকে জাতীয় সংসদ ভবন অভিমুখে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
সোহেল তাজের দাবিগুলো হলো- ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয় বলে দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করা; ৩রা নভেম্বর জেলহ/ত্যা দিবস জাতীয়ভাবে পালিত হবে এবং জাতীয় চার নেতাসহ সকল বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাসসহ যথাযথ মর্যাদা এবং সকল স্তরের পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যসূচিতে গুরুত্ব সহকারে অন্তর্ভুক্ত।
এর আগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর সোহেল তাজ স্পিকারের কাছে তিন দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। ওইদিন মানিক মিয়া এভিনিউতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মিছিল শেষে তিনি এ স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন গাজীপুরের কাপাসিয়ার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ এবং দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ জোহরা তাজউদ্দীন ২০০১ সালে সংসদ সদস্য হন। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর সরকার গঠন তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করেন।
তবে পাঁচ মাস পর পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ।২৩এপ্রিল ২০১২-এ তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তারপর রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন। তার বোন সিমিন হোসেন রিমি এখন তার সংসদীয় আসন (গাজীপুর-৪) থেকে সংসদ সদস্য। রিমি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।