রাশিয়া এবং ইরানের মধ্যে সৃষ্ট সং”ঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে একটি বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। যার প্রভাব থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ন সফরে আসার কথা থাকলেও তিনি আসতে পারেননি। যার কারণে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এদিকে তিনি বাংলাদেশ সফরে আসতে না পারায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে ফোন করেন।
এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের একটি সৌজন্য ফোনালাপ হয়েছে। ইন্ডিয়ান ওশান কো-অপারেশন অ্যালায়েন্স (আইওআরএ) এর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের ২৩ নভেম্বর ঢাকায় আসার কথা ছিল। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ সময়সূচি জটিলতার কারণে ঢাকায় আসতে না পারায় ফোনে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং খুব শিগগিরই বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
টেলিফোন কথোপকথনে দুই মন্ত্রী বাংলাদেশ ও রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন এবং এ সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যু”দ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা বাংলাদেশ সবসময় কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে আগত শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ।
অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি দুই মন্ত্রী জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। যার কারণে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশে সফর গুরুত্বপূর্ণ ছিল, বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এদিকে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক জোরদার কারণে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করলে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনায় উঠে আসবে, এমনটাই জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র।