Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / হঠাৎ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামের বাড়িতে পুলিশ, জানা গেল কারণ

হঠাৎ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামের বাড়িতে পুলিশ, জানা গেল কারণ

পুলিশ নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার ও তার পরিবারের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছে।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার বাথুয়া গ্রামের নাজুমিয়া হাট এলাকায় স্থানীয়রা জানিয়েছেন ড. ইউনুসের বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বিশেষ করে কারও বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে না। চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দাদের নিয়মিত নাগরিক তথ্য সংগ্রহের অংশ হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগস্টের শেষ ও চলতি মাসের শুরুতে হাটহাজারী থানার মদুনাহাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. আজম ও পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহ করেন মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামের বাড়িতে যান। তারা স্থানীয়দের কাছ থেকে ড. ইউনূস ও তার পরিবারের খোঁজ খবর নিন।

ড. ইউনূসের ভাইবোন কয়জন? তারা কি করে? তাদের কি কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে? তারা কি গ্রামের বাড়িতে আসে কিনা? শেষ কবে এসেছিলেন? ড. ইউনূস কোথায় পড়াশোনা করেছেন? তিনি কি কখনো রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন কিনা? তার সন্তানরা কি করে?

স্থানীয়রা জানান, ডা. ইউনুসের পরিবারের সদস্যরা গ্রামের বাড়িতে থাকেন না। বলা হয়, তারা এখানে আসা-যাওয়া করে না। তাদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের যোগাযোগ কম। তাই তারা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। এ সময় পুলিশ সদস্যদের ড. ইউনূস এক ভাইয়ের স/ঙ্গে কথা হয়।

নাজুমিয়া হাটের সার ডিলার ও ডা. ইউনূসের বড় চাচাতো ভাই শেখ মঞ্জুর আলী দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির একজন সদস্য ড. ইউনূসের স/ম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। তার বাবা-মায়ের নাম কী, কত ভাই-বোন এগুলো। আমরা যা জানি বলেছি। পরে তার এক ভাইয়ের সাথে কথা হয়।পৈতৃক ভিটাতে ডা. ইউনূসের কোন বাড়ি নেই।তারা ৬০-৭০ বছর আগে এখান থেকে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসেন।সেখানে বাড়ি করেন।

হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন, এলাকার লোকজনের কাছে শুনেছি তারা ডা. ইউনূসের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। কিন্তু তারা এখানে থাকেন না। তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। এলাকার মানুষের সাথে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. আজম কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (গোয়েন্দা) আমির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নিয়মিত জেলার নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।তারই অংশ হিসেবে ওই এলাকার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য তথ্য সংগ্রহ করেছেন। বিশেষ করে কারো সম্পর্কে কোনো তথ্য সংগ্রহ করা হয় না, এমন কোনো নির্দেশনাও নেই।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *