১৯৭০-এর দশকের ‘হোমার’, ‘অ্যান্ড হোপ টু ডাই’, ‘ফিঙ্গারস’ এবং ‘উইন্টার কিলস’-এর জনপ্রিয় মার্কিন অভিনেত্রী টিসা ফ্যারো মারা গেছেন। ১০ জানুয়ারি তিনি মা/রা যান। এই অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
হলিউড রিপোর্টার জানিয়েছে যে টিসা ফারোর মৃ/ত্যুর খবর তার বোন অভিনেত্রী মিয়া ফারো মিডিয়াকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তিসা ফারোর মৃ/ত্যু হয়। এবং টিসা ফারোর ভাই জন ফ্যারো মিডিয়াকে বলেছেন যে তিনি ভার্মন্টের রুটল্যান্ডে মা/রা গেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে তার বোনের মৃ/ত্যুর কথা উল্লেখ করে অভিনেত্রী মিয়া ফারো লিখেছেন, ‘যদি স্বর্গ থাকে, আমার বোন টিসা ফারো অবশ্যই সেখানে স্বাগত জানাবেন। তিনি আমাদের মধ্যে সেরা ছিলেন। তার চেয়ে বেশি উদার ও দয়ালু হৃদয়ের মানুষের সাথে আমার দেখা হয়নি। তিনি জীবনকে খুব ভালোবাসতেন এবং কখনও অভিযোগ করেননি।’
টিসা ফ্যারো ১৯৭০ সালে ‘হোমার’ সিনেমার মাধ্যমে অনস্ক্রিনে আত্মপ্রকাশ করেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধ দ্বারা প্রভাবিত একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রের (ডন স্কারডিনো) বান্ধবীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তিনি লুসিও পরিচালিত স্বল্প বাজেটের হরর ফিল্ম ‘জম্বি’ তেও (১৯৭৯) অভিনয় করেছিলেন।
হোমারের পরে, অভিনেত্রী জিন-লুই ট্রিন্টিগ্যান্ডের বিপরীতে ফরাসি-ইতালীয়-কানাডিয়ান ক্রাইম ড্রামা অ্যান্ড হোপ টু ডাই (১৯৭২) এ অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও ‘সাম কল ইট লাভিং’ (১৯৭৩), ‘অনলি গড নোজ’ (১৯৭৪), ‘স্ট্রেঞ্জ শ্যাডোস ইন অ্যান এম্পটি রুম’ (১৯৭৬) এবং ‘সার্চ অ্যান্ড ডেস্ট্রয়’ (১৯৭৯) এবং ‘দ্য অর্ডিয়াল অফ পার্টি হার্স্ট’ এবং ‘ তার কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল টেলিফিল্ম ‘দ্য ইনিশিয়েশন অফ সারাহ।
টিসা ফ্যারোর আসল নাম থেরেসা ম্যাগডালেনা ফ্যারো। তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসে ২২ জুলাই, ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের সাত সন্তানের মধ্যে তিনি সবার ছোট। তার মা ছিলেন আইরিশ অভিনেত্রী মৌরিন ও’সুরিভান। যিনি ১৯৩০ এর দশকের টারজান চলচ্চিত্র থেকে জেন নামে পরিচিত।