ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের আওতাধীন লালবাগ থানার ২৯ নেতাকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতিপত্র দিয়েছেন। লালবাগ থানা সভাপতি শাহ আলম সুমনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগে চকবাজার থানার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক করায় তাঁরা স্বেচ্ছায় অব্যাহতিপত্র দিয়েছেন।
বুধবার অব্যাহতিপত্রের সত্যতা স্বীকার করেন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ।
ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, গত ২৭ জুলাই একই দিনে লালবাগ থানা ছাত্রলীগের ২৯ নেতা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়া ছাত্রলীগ নেতা সুমনকে সভাপতি থেকে সরিয়ে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ্র দাসকে সভাপতি বানানোকে গঠনতন্ত্রে ব্যত্যয় উল্লেখ করে অব্যাহতি নেন।
জানা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কোনো সম্মেলন ছাড়াই লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ আলম সুমন ও সাধারণ সম্পাদক সুজন আহমেদ ফয়সালসহ ১২ সদস্যের কমিটি করা হয়। ওই বছরের ডিসেম্বরে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়। গত ২৫ জুলাই কমিটির সভাপতি সুমনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে পদ থেকে অব্যাহতি দেন মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু বলেন, ছাত্রলীগের ২৯ নেতার মুক্তির বিষয়টি আমার জানা নেই। নিষ্ক্রিয়তার কারণে লালবাগ থানা সভাপতিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যারা মিছিল-মিটিংয়ে আসেন না, কর্মসূচি দেন না এবং দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকেন, তাদের কোনো অজুহাত দেখার দরকার নেই। তারা ইতিমধ্যে সংগঠনে নেই বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সেল সূত্রে জানা যায়, অব্যাহতি নেওয়া ছাত্রলীগ নেতারা হলেন লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি অনুভব আহমেদ, রাকিব খান, জাকির হোসেন, আশরাফ মিয়া, দীপু চন্দ্র দাস, জোনায়েদ রহমান সীমান্ত, ফারদিন হোসেন রিফাত, মো. শুভ, মো. সুজন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সামির হোসেন, কামরুজ্জামান শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান সাদিক, গোলাম মোরশেদ লামীম, রিফাত আহমেদ শুভ, মহিউদ্দিন রাফি, মো. নিলয়, আরশ হোসেন শাকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শিহাব উদ্দীন রা-আদ, সমাজসেবা সম্পাদক সামিউল সাদী, ধর্ম সম্পাদক মাহবুব হোসেন রিফাত, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মো. সামির, প্রচার সম্পাদক আফতাব আলম আবির, উপবিজ্ঞান সম্পাদক নিবিড় আহমেদ মাসুম, উপক্রীড়া সম্পাদক ওরনয় আহমেদ রনি, উপদপ্তর সম্পাদক ফারদিন আরিয়ান, উপসংস্কৃতি সম্পাদক ফাহিম রহমান রুদ্র, সহসম্পাদক আমীর হামজা প্রমুখ।
ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, তারা (যাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে) নতুন কমিটি মানবেন না, আর বিভিন্ন গ্রুপিং তো রয়েছে। নতুন কমিটি গঠিত হওয়ায় তাতে আর তো পদ থাকে না। বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে, যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ‘