অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের ঘটনা দেশজুড়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি করে। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে কোন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ ছাড়াই পুলিশের খামখেয়ালিপনার জেরে তাকে হ”/ত্যা করা হয় এমনটাই অভিযোগ ওঠে। এই হ/”ত্যাকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধান দুই আসামি লিয়াকত আলী এবং ওসি প্রদীপ কুমার দাস।
রাশেদ খান হ”/ত্যা মামলায় মৃ”ত্যুদ”ণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে হঠাৎ করে কক্সবাজার আদালতে হাজির করা হয়েছে। রোববার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে তাকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়।
কক্সবাজার কারাগারের জেল সুপার মো. শাহ আলম খান জানান, টেকনাফ থানায় কর্মরত থাকাকালে সিনহা হ”/ত্যা মামলায় মৃ”ত্যুদ”ণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী একটি হ”/ত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। ওই মামলায় সাক্ষ্য দিতে তাকে কক্সবাজার আদালতে হাজির করা হয়েছে। এর আগে ১৫ জুলাই কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে তাকে কক্সবাজার কারাগারে আনা হয়।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গু”লিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে নিথর করে দেয়। গত ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত এ মামলায় প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে মৃ”ত্যুদণ্ড দেন। এ মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকিদের খালাস দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, রাশেদ খান কক্সবাজারে একটি ডকুমেন্টারি তৈরীর জন্য তার দুই সঙ্গীসহ একটি হোটেলে ওঠেন। রাশেদ ও তার আরেক সঙ্গীকে নিয়ে সন্ধ্যার আগে বহরছড়া এলাকায় কিছু ভিডিও চিত্রগ্রহণের জন্য যান। সেখান থেকে গাড়িতে করে ফেরার পথে পুলিশের হাতে তিনি প্রয়াত হন।