‘ব্যাঙ্কে টাকা নেই’ এই ধরনের বিষয় নিয়ে বর্তমানে আলোচনা শুরু হয়েছে, আর এটার পর যারা ব্যাংকে আমানত রেখেছেন তারা আত”ঙ্কে কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার কোটিরও বেশি পরিমান টাকা তুলে নিয়েছেন। এ বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছেন মো. আহমদ কায়কাউস যিনি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাঙ্কে টাকা নেই, এ কথা বলার পর সত্যিকারের প্রভাব পড়েছে। মানুষ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। এতে বাধা দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন সবাই বুঝতে পেরেছে, আরে! এটা তো ভুল করেছি। এখন সবাই টাকা ফেরত দিতে শুরু করেছে।
আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন। এখন কিন্তু সবাই আবার ফেরত দিচ্ছে।’
শনিবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিআইডিএস) তিন দিনব্যাপী বার্ষিক উন্নয়ন সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সম্পর্কে আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘তারা ভালো গ্রাহকদের ডেকে ডেকে ঋণ দেয়। কয়েক মাস আগে আইএমএফের একটি নিয়মিত প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে। এরপর তারা বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। ডলার নিয়ে অস্থিতিশীলতা থাকায় বাংলাদেশ আইএমএফের ঋণ নিতে রাজি হয়েছে।
কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ অনেকাংশে কমে যাওয়ার কারণে ব্যাংক ও আর্থিক সংকটে পড়তে পারে এমন ধরনের ভী’তি ছড়িয়েছে গ্রাহকদের মাঝে। তাই তারা নিজেদের গচ্ছিত অর্থের নিরাপত্তার দিকটা ভেবে এই অর্থ তুলে নেয়। তবে বাংলাদেশ তারল্য সংকট সৃষ্টি হবে না, এমন ধরনের বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তবে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত গুলোতেও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছিলেন সাধারণ মানুষ।